একজন নতুন নারী উদ্যাক্তা বীনা মল্লিক। মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারি এলাকায় তার বাড়ি। ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে একাউন্টসে চাকরি করতেন। করোনাকালীন চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ জন্মভূমি মোংলাতে চলে আসেন। নিজেকে স্বাবলম্বী করতে এবং পরিবারকে স্বচ্ছল করতে উদ্যোগ নেন ফাস্টফুড বা রেস্টুরেন্ট ব্যবসার।
নিজের জমানো সামান্য কিছু টাকা ও তার স্বামী জয়ন্ত ঠাকুরের সহায়তায় নিজ গ্রাম কাইনমারিতে একটি মাছের ঘেরের উপরে তৈরি করেন বাঁশ ও কাঠের কারুকার্যে তৈরি রুবি ক্যাফে নামের একটি রেস্টুরেন্ট। ইতিমধ্যে যা মোংলা উপজেলার সকল শ্রেণির মানুষের কাছে বিনোদন কেন্দ্র বা কফি হাউজ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিকেল হলেই এখানে চলে আসেন বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষসহ মোংলাতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।
রেস্টুরেন্টে ঘুরতে বা খেতে আসা মোংলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিমেষ বালা বলেন, শহরের বাহিরে এরকম একটি নিরিবিলি জায়গায় এই রেস্টুরেন্টটি খুবই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর যা আমাকে আকৃষ্ট করেছে।
রেস্টুরেন্টে স্বপরিবারে খেতে আসা হলদিবুনিয়া গ্রামের মুকুল বাড়ই (৭০) বলেন, মানুষের কাছে শুনেছি একটি মেয়ে এখানে সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছে তাই পরিবারের সকলকে নিয়ে দেখতে ও খেতে আসলাম।
ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চাইলে বীনা মল্লিক বলেন, প্রথমে অনেকেই আমাকে নিষেধ করেছিল এখানে কিছু না করতে, এটা একটি গ্রাম, এখানে কেউ আসবে না কিন্তু আমি নিজের এবং আমার ফ্যামেলির অনুপ্রেরণায় পানির উপরে রেস্টুরেন্টটি চালু করি এবং বেশ অল্পদিনেই মানুষের ব্যাপক সাড়া পাই, বর্তমানে কাস্টমারের চাহিদা এতো বেশি যে অনেক কাস্টমারকে বসতেই দিতে পারি না, আগামিতে আমার রেস্টুরেন্টের পরিধি আরো বাড়াবো বলে চিন্তা করছি, তাতে করে আমার এলাকার অনেক বেকার ছেলে মেয়ে এখানে কাজ করার সুযোগ পাবে। বর্তমানে আমার রেস্টুরেন্টে ৪ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে, আমি চাই আমার মতো সকল নারীরা অন্যের উপর নির্ভর না করে নিজ নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসুক এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজ এলাকায় কর্মসংস্থান তৈরি করুক।
খুলনা গেজেট/এনএম