আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগদান করেছে সুইডেন। এর মধ্যে দিয়ে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য কয়েক দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটল। ইউক্রেনে রাশিয়া অভিযান চালানোর পরই সুইডেন ন্যাটোতে যোগদানের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। খবর আল জাজিরা
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বসে দেয়া এক বিবৃতিতে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেন, ‘ন্যাটোর সদস্য হিসেবে সুইডেনের পথপ্রদর্শক হবে ঐক্য ও সংহতি।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের মিত্রদের সঙ্গে দায়িত্ব, ঝুঁকি এবং কাজ ভাগ করে নিব।
সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট গ্রহণের সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, যারা অপেক্ষা করে তাদের জন্য ভালো কিছু আসে। তিনি আরও বলেন, সুইডেনের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুর্হূত।
এদিকে সুইডেন্টে কর্মসংস্থান এবং একীকরণ মন্ত্রী জোহান পেহরসন বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ন্যাটোতে যোগদানের মাধ্যমে সুইডেন নতুন নিরাপত্তা বলয়ে প্রবেশ করেছে। এই দিনটির জন্য জাতি দীর্ঘ ২০ বছর অপেক্ষা করেছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর সুইডেন এবং তার পার্শ্ববর্তী দেশ ফিনল্যান্ড ভীত হয়ে পড়ে। কারণ এই দেশ দুটির সঙ্গে রাশিয়ার ১ হাজার ৩৪০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর ফলে তারা ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আবেদন জানায়।
গত বছর ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদান করলেও আটকে যায় সুইডেন। কারণ ন্যাটোতে সুইডেনের যোগদানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তুরস্ক ও হাঙ্গেরি। শেষ পর্যন্ত জানুয়ারিতে অনুমতি দেয় তুরস্ক। এরপর গত সপ্তাহে হাঙ্গেরিও ন্যাটোতে যোগদানের জন্য অনুমতি প্রদান করে।