খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

ক্ষমা চাইলেন সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাকিব আল হাসান আর বিতর্ক যেন একই সূতোয় গাঁথা হয়ে উঠছে। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক পূজা উদ্বোধন করা নিয়ে ফের সমালোচনার ‍মুখে পড়েন তিনি। দেশজুড়ে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এবার ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ওয়ানডের বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে পূজা উদ্বোধনের ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। সাকিবের দাবি কোনো পূজা উদ্বোধন করেননি তিনি। গত ১২ নভেম্বর বেনাপোল হয়ে ভারত যাওয়ার পথে বেনাপোল বন্দর ইমিগ্রেশনে এক ভক্তের ফোন ভেঙেছিলেন সাকিব আল হাসান। এই ঘটনা এবং ভারতের পূজা উদ্বোধনের ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে এক ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চেয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেটের এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সাকিবের ভাষ্য, ‘পূজার বিষয়টি এখানে আসলে নিউজ, মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া সব জায়গায় এসেছে আমি পুজার উদ্বোধন করতে গিয়েছি। যেটা আসলে আমি কখনও আমি যাইও নি কিংবা করিও নি। এটির প্রমাণ আপনারা অবশ্যই পাবেন। যেটি হচ্ছে অনেক সাংবাদিক ভাই বোনেরাই সেখানে ছিলেন যাদেরকে হয়তো দাওয়াত করেছে কিংবা আপনারা যদি সেখানের দাওয়াতের কার্ডটা দেখেন, কার্ডে লেখা আছে কে আসলে ওইটার উদ্বোধন করেছেন।’

ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়ার আগে নিজেকে গর্বিত মুসলমান হিসেবে দাবি করেন সাকিব আল হাসান। সবসময় ইসলাম ধর্মের নিয়ম-কানুন মেনে চলার চেষ্টা করেন বলেও জানান তিনি।

সাকিব বলেন, ‘অবশ্যই খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। আমি প্রথমেই বলতে চাই আমি নিজেকে একজন গর্বিত মুসলমান হিসেবে মনে করি এবং আমি সেটাই চেষ্টা করি পালন করার। ভুল ক্রুটি হবেই এবং ভুল ত্রুটি নিয়েই আসলে আমরা চলাফেরা করি। আমার কোন ভুল হয়ে থাকলে অবশ্যই আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনাদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে সেজন্যও আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

কলকাতায় যাওয়ার পথে এক ভক্তের ফোন ভাঙা প্রসঙ্গেও কথা বলেন সাকিব। এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি কখনোই বুঝতে পারি না আমার আসলে অন্য একজনের ফোন ভেঙে কী উপকার হবো বা লাভ হবে। আপনারা হয়তো ভালো উত্তর দিতে পারবেন। যার ফোন ভাঙা নিয়ে কথা হচ্ছে। আমি তার ফোনটা কখনোই ইচ্ছেকৃতভাবে ভাঙিনি। যেহেতু করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছিলাম। কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রেখে চলা যায় সেটা চেষ্টা করছিলাম। যেহেতু অনেক মানুষ ছিল এবং ভীড় ছিল, সবাই চেষ্টা করছিল ছবি তুলতে। আমিও চেষ্টা করছিলাম কীভাবে তাদের কাছে না গিয়ে আমার কাজগুলো সম্পূর্ন করতে পারি ইমিগ্রেশনের।’

খুলনা গেজেট/এএমআর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!