কাজের চাপ থেকেই আসে ক্লান্তি। আর এই ক্লান্তির কারণে একটু কি অগোছালো লাগছে নিজেকে? তাহলে নিজেকে আরও বেশি পরিচ্ছন্ন আর আকর্ষণীয় করার মাঝে মিলবে প্রশান্তির ছোঁয়া। বিউটি থেরাপি বা মাসাজ শরীরের জড়তা দূর করার জন্য দারুণ কার্যকর। মাংসপেশি ও হাড়ের সংযোগগুলো নাড়িয়ে চমৎকার সচলতা তৈরি করে এই মাসাজ। পুরো শরীর কিংবা হাত-পা, কাঁধের আলাদা আলাদা মাসাজ শরীরের জড়তা দূর করে।
ইদানিং বিউটি পার্লারগুলোতে স্পা ও ভেষজ কেয়ারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে স্বল্প ব্যয়ের মধ্যেই। তাই চাইলে কোনো বিউটি পার্লারে গিয়ে ভেষজ উপায়ে কাটিয়ে আসতে পারেন শারীরিক জড়তা। নিস্তেজ ত্বক সতেজ করতে পারেন ঘরে বসেই। সে জন্য দরকার আপনার ইচ্ছা আর নিজের জন্য একটুখানি সময়। ত্বকের ধরন বুঝে যত্ন নিতে হবে।
চালের গুঁড়া দিয়ে স্ক্রাবিং সব ধরনের ত্বকের জন্যই ভালো। চালের গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখ এবং সারাশরীরে লাগান। এরপর ভালোভাবে ত্বক মাসাজ করুন। বিশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। যাদের রোদে ঘুরতে হয় বেশি তারা ত্বকের পোড়াভাব কমাতে চালের গুঁড়ার সঙ্গে টমেটোর রস ব্যবহার করুন।
চোখের নিচের ত্বক অপেক্ষাকৃত বেশি স্পর্শকাতর হয়। দিনের যে কোনো সময়ে আলু এবং শসা থেঁতো করে রস ফ্রিজে রাখুন। ঠাণ্ডা রসে তুলা ভিজিয়ে চোখের ওপর রাখুন পনেরো মিনিট। চোখের নিচের কালো দাগ ও ভাঁজ কমে যাবে। ছুটির আনন্দে ঘুরে ঘুরে হাত-পা জোড়ার বেহাল অবস্থা করেছেন হয়তো।
হাত ও পায়ের যত্ন নিতে ঘরোয়া পেডিকিউর-মেনিকিউর করতে পারেন। বালতি বা গামলায় সহনীয় গরম পানি নিয়ে তাতে চুলের শ্যাম্পু, লবণ ও লেবুর রস মেশান। প্রতি লিটার পানিতে দুই মিলি শ্যাম্পু, এক চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচের চার ভাগের একভাগ লবণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে পা বিশ-পঁচিশ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ব্রাশ দিয়ে পায়ের ত্বক, গোড়ালি, নখ ঘষতে থাকুন। একই পদ্ধতি হাতেও প্রয়োগ করুন।
হাত ও পা পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ফেলুন। হাত ও পা ভালোভাবে মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এবার আরেকবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন, যথেষ্ট ঝরঝরে লাগছে আপনাকে!
খুলনা গেজেট/ এএজে