বছর শেষ হবার একদিন বাকি, এর মাঝেই বিখ্যাত ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো প্রকাশ করেছে তাদের দেখা বর্ষসেরা একাদশ। যেখানে পুরুষদের মাঝে নেই বাংলাদেশের কেউ, তবে নারীদের মাঝে ঠাঁই মিলেছে নাহিদা আক্তারের।
বল হাতে ২০২৩ সালটা দারুণ কেটেছে তার। চলতি বছর ওয়ানডের ক্যারিয়ার সেরা র্যাংকিংয়ে উঠেছিলেন তিনি। পাশাপাশি নভেম্বর মাসে আইসিসি কর্তৃক সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন তিনি। এবার তিনি জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশেও।
২০২৩ সালে ১৬.৩ স্ট্রাইকরেটে নাহিদা শিকার করেছেন মোট ২০ উইকেট। ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে জায়গা পাওয়া বোলারদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে কেবল অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনারের। চলতি বছর তার শিকার ২১ উইকেট।
শ্রীলঙ্কান চামারি আতাপাত্তু ও অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনিকে ওপেনার হিসেবে একাদশে রাখা হয়েছে। ৬৯ দশমিক ১ গড়ে ৪১৫ রান করেছেন আতাপাত্তু। অন্যদিকে ৭৭ দশমিক ৪ গড়ে ৩৮৭ রানের পাশাপাশি উইকেটের পেছনে ৬ ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিং করেছেন মুনি। তিনে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সোফি ডিভাইন। ৩৪৬ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১২ উইকেট নিয়েছেন কিউই এই অলরাউন্ডার। ডিভাইনকে নেতৃত্বে রাখা হয়েছে। চারে আছেন আরেক কিউই অ্যামেলিয়া কের। ব্যাট হাতে ৬৭ দশমিক ৬ গড়ে ৫৪১ রানের পাশাপাশি বল হাতে ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
পাঁচে ইংল্যান্ডের নাট সাইভার ব্রান্ট। ১৩১ গড়ে ৩৯৩ রান করেছেন করেছেন এই ইংলিশ ব্যাটার। দলে আছেন আরেক অজি অলরাউন্ডার অ্যাশলি গার্ডনার। ২১ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেছেন ১৭৯ রান। আরেক অজি অ্যান্নাবেল সাদারল্যান্ড ৪৮ গড়ে ২৪০ রানের পাশাপাশি তুলে নিয়েছেন ৯ উইকেট। বোলার হিসেবে স্থান পাওয়া প্রোটিয়া পেসার নাদিন ডি ক্লার্কের শিকার ১৩ উইকেট। তালিকার ১০ নম্বরে আছেন বাংলাদেশের নাহিদা। সেরা একাদশের শেষ ক্রিকেটার কিউই পেসার লিয়া তাহুহু। চলতি বছর ২০.৮ স্ট্রাইকরেটে তার শিকার ১৫ উইকেট।
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে একাদশ: চামারি আতাপাত্তু, বেথ মুনি (উইকেটরক্ষক), সোফি ডিভাইন (অধিনায়ক), অ্যামেলিয়া কের, নাট সাইবার-ব্রান্ট, মারিজেন ক্যাপ, অ্যাশলি গার্ডনার, অ্যান্নাবেল সাদারল্যান্ড, নাদিন ডি ক্লার্ক, নাহিদা আক্তার ও লিয়া তাহুহু।
খুলনা গেজেট/এনএম