বেশ কিছুদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা আবদুল কাদের। চিকিৎসা করাতে চেন্নাইতে গিয়েছিলেন। পরে সেখানকার হাসপাতালের পরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। গতকাল মঙ্গলবার থেকে এই অভিনেতার রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাচ্ছে। অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যাচ্ছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই অভিনেতার পুত্রবধূ।
আবদুল কাদেরের খবর জানতে যোগাযোগ করা হলে চেন্নাইয়ের ক্রিস্টিয়ান মেডিকেল হাসপাতাল থেকে বিস্তারিত জানান পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি। জানালেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর শ্বশুর অসুস্থ ছিলেন। ঠিকমতো খেতে পারছিলেন না। বিভিন্ন হাসপাতালে একাধিকবার পরীক্ষা–নিরীক্ষার করেও তাঁর কোনো রোগ ধরা পড়ছিল না। পরে সর্বশেষ পুরো শরীর সিটি স্ক্যান করে জানা যায় এই অভিনেতার টিউমার হয়েছে। তিনি বলেন, ‘টিউমার ধরা পড়ার পর আমরা পারিবারিক সিদ্ধান্তে ৮ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। এখানে আবারও চেকআপ করা হলে ১৫ ডিসেম্বর ডাক্তাররা বোর্ড মিটিংয় করে বললেন, আমার শ্বশুরের ক্যানসার। বর্তমানে ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি এখন চতুর্থ স্টেজে আছে।’
স্থানীয় হাসপাতালে ধারণা দেওয়া হয়েছিল তার শরীরে ক্যানসার হতে পারে। সেটিই চেন্নাইতে চূড়ান্ত জানিয়ে দিল। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তাঁর রক্তের হিমোগ্লোবিন ৩–এ নেমেছে। গতকাল থেকে তাঁকে রক্ত দেয়া হয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় তাঁকে আবারও রক্ত দেয়া হবে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জেমি বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন আইসিইউতে ভর্তি করালে তেমন কোনো লাভ হবে না। বাবা কেমো নিতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে চিকিৎসকেরা এখনো কিছু জানাননি। কারণ তিনি এখন শারীরিকভাবে দুর্বল আছেন। ডাক্তাররা আগেই কেমো দিতে চাচ্ছেন না। তাকে একটু সুস্থ হতে হবে। পরিবারের সবার সঙ্গে পরামর্শ করে ডাক্তারদের বলেছি কেমো আপাতত না দেওয়া গেলে বাবাকে একটু সু্স্থ করে দেন, আমরা তাকে দেশে নিয়ে যেতে চাই।’ তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো হলে আগামী ১৮ তারিখে তাকে নিয়ে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন পরিবারের সদস্যরা।
আবদুল কাদের কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। এ ছাড়া জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র পরিচিত মুখ তিনি। হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি তুমুল জনপ্রিয় টেলিভিশনের পর্দায়।
খুলনা গেজেট/কেএম