ভারতের মহামারি করোনার ভেরিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসা ১৪০জনকে পার্সপোর্ট যাত্রীকে ১৪দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়। তাদেরকে সাতক্ষীরা শহরের ৪টি আবাসিক হোটেলে রাখা হয়েছে। যাদের অধিকাংশই চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন।
তবে ভারত ফেরত যাত্রীদের অভিযোগ, বেনাপোল থেকে তাদেরকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রাখার কথা বলা হলেও এখানে সম্পূর্ণ নিজ খরচে থাকতে হচ্ছে তাদের। ফলে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরা এই সব যাত্রীরা অর্থ সংকটে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তার উপর হোটেলের ভাড়া পরিশোধ নিয়ে আছে বিপাকে।
সম্প্রতি ভারতে মহামারি করোনার ভেরিয়েন্ট ছাড়িয়ে পড়ায় চিকিৎসা শেষে পাসপোর্টধারী যাত্রী যারা ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন সকলকে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় জায়গা স্বল্পতার কারনে যশোর বেনাপোল স্থলাবন্দর দিয়ে দেশে ফেরা ১৪০জন পাসপোর্ট যাত্রীদেরকে গত বুধবার সন্ধ্যা ও রাতে সাতক্ষীরায় কোয়ারেন্টাইনের জন্য আনা হয়। এদের মধ্যে প্রথম আসা ৫০ জনের একটি দলকে শহরের আবাসিক হোটেল উত্তরা ও বাকীদের টাইগার প্লাস, হোটেল আল কাশেম ও হোটেল হাসান এ রাখা হয়েছে।
যদিও বেনাপোল থেকে তাদেরকে বলা হয়েছিল সরকারি খরচেই সাতক্ষীরাতে তাদের থাকা খাওয়ার কথা। কিন্তু আসার পর নিজেদেরকেই সকল খরচ বহন করতে হচ্ছে, স্থানীয় প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই এমন অভিযোগ ভারত থেকে আসা এসব বাংলাদেশী নাগরিকদের।
এদিকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরা এসব যাত্রীরা অর্থ সংকটে ঠিক মতো না পারছে খেতে, না পারছে হোটেল ভাড়া দিতে, তার উপর অসুস্থ রোগীদের নিয়ে আছে বিপাকে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত কুমার জানান, কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন ভারত ফেরত যাত্রীদের সকল প্রকার স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হবে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ভারত থেকে বেনাপোল কাস্টমস অফিস দিয়ে দেশে ফেরা ১৪০ জন বাংলাদেশীকে সাতক্ষীরায় কোয়ারেন্টাইনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সরকারের কাছ থেকে বিশেষ পাশ নিয়ে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী হাইকমিশনে তারা বন্ড দিয়ে এসেছে এখানে কিভাবে থাকবেন। প্রশাসন যেখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করবেন সেখাইে তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এবং তারা সম্পূর্ন নিজ খরচে থাকবেন।
এদিকে তাদের সমস্যার কথা জানতে পেরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেঞ্চুরী একাডেমির পরিচালক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই