নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার কোরবানির পশু বিক্রির অস্থায়ী হাটের দরপত্র বিক্রি নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৮ মে) সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে।
জানা যায়, বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ১৫টি পশু বিক্রির অস্থায়ী হাটের দরপত্র বিক্রি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় কয়লাঘাট পশুর হাটের দরপত্র কিনে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথে ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা লাভলুর উপর হামলা করে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রুবেলের অনুসারীরা। পুলিশের সামনে তাকে মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি মেরে দরপত্র ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। দুপুর ১২টায় একই হাটের দরপত্র কেনেন জাকির নামের আরেক ব্যবসায়ী। তিনিও দরপত্র নিয়ে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথেই তার উপর হামলা করে রুবেল মেম্বারের অনুসারীরা।
বিকেল চারটায় বৃষ্টির মধ্যে একই হাটের দরপত্র কেনা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় রুবেল মেম্বারের অনুসারীরা ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহেলের উপর হামলা করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম বলেন, কয়লাঘাট হাট নিয়ে একটি গ্রুপ প্রতিপক্ষের উপর হামলা করেছিল। লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে আটক করেছি।
খুলনা গেজেট/এমএনএস