খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১লা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  জুলাই গণহত্যা : শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল, অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন; বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার চলছে
  জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে আপিল বিভাগের নির্দেশ, প্রতীকের সিদ্ধান্ত দে‌বে ই‌সি
  সিলেট গোলাপগঞ্জে টিলাধ্বসে একই পরিবারের ৪ জন নিহত

কোতোয়ালি থানার তিন পুলিশ সদস্য কালীগঞ্জে হামলার শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অপহরণ মামলার কিশোরীকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন যশোর কোতোয়ালি থানার তিন পুলিশ সদস্য। সোমবার (৫ মে) বিকেলে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বাকুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এএসআই তাপস কুমার পাল, নারী কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুন। তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুল ইসলামের ভাইরার ছেলে সুজন হোসেন যশোর থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার যশোর কোতোয়ালি থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ, কালীগঞ্জ থানার সহযোগিতায় সোমবার দুপুরের পর বাকুলিয়া গ্রামে কিশোরীকে উদ্ধার করতে যায়। পুলিশ সদস্যরা ইমাদুলের বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ফিরছিলেন। এ সময় স্থানীয় ৮/১০ জন নারী-পুরুষ পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে কিশোরীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এসময় কালীগঞ্জ পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আছাদুজ্জামান আসাদের স্ত্রী মাছুরা খাতুন হামলা ঠেকাতে গিয়ে আহত হন।

আহত কনস্টেবল রাবেয়া খাতুন জানান, আমরা মেয়েটিকে নিয়ে আসার সময় কয়েকজন পুরুষ আমাদের বাধা দিয়ে চিৎকার করে বলে ‘হাত ছেড়ে দাও।’ আমরা রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে ও আমার সঙ্গে থাকা কনস্টেবলকে বেধড়ক মারধর করে।

এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ আমাদের সহযোগিতায় বাকুলিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আমরা আহত পুলিশ সদস্য ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা যশোর থানা কতৃপক্ষ নেবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!