প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা আপিলে বিভাগের রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে আন্দোলনে যেতে শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার’দা সূর্য সেন হল, কবি জসীম উদ্দীন হলসহ কয়েকটি হলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে বাধা ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এছাড়া হলের ফটকে তালা ঝুলিয়েও দেয়া হয়েছে।
মেহেদী হাসান নামে সূর্যসেন হলের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লেখেন, আমাদের ছাত্রলীগের বন্ধু এবং ভাইরাই আজ আমাদের আটকে দিলো। ওরা ক্যান্ডিডেট ৬-৭জন গেট আটকালো। কিন্তু আমরা ১৫০-২০০জন ছিলাম, তাও সাহস করে কেউ লাথি মেরে বের হতে পারলাম না। সবার মনে ভয় উদ্যোগটা নেবে কে? আমি নেব? আমার পরিণতি কী হবে? এরকম। কারণ হল থেকে বের করে দিলে যে থাকার জায়গা নেই।
জুনিয়রগুলোকে এক ধমক দেয়াতে দেখি সঙ্গে সঙ্গে শতাধিক জুনিয়র এদিক সেদিক চলে গেলো। যারা বাধা দিয়েছেন তোরা তো গোলামির জীবন আগেই বেছে নিলেন, আমাদের কেন গোলাম হতে বাধ্য করছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম