গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ঘোষিত আংশিক উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
আজ রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সামনে পদবঞ্চিত নেতাকর্মিরা এ কর্মসূচি পালন করে।
বিক্ষোভকারীরা সকাল ১০ দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধসৃষ্টি করে বিক্ষোভ করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সাড়ে ১০ টার দিকে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় ওই সড়কে কিছু সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। বর্তমানে পদবঞ্চিত নেতাকর্মিরা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে তাদের কর্মসূচি পালন করছে। কমিটি ঘোষণার পর রাত ১২টা থেকে তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মনির হোসেন, সাবেক সাধারন সম্পাদক জামির হোসেন, সাবেক উপক্রীড়া সম্পাদক ইয়াদুল নিজামী, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব শেখ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল শনিবার রাত ১২ টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা তার ফেসবুক থেকে কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে এক বছরের জন্য মো. স্বপন তালুকদারকে সভাপতি ও শামীম দাড়িয়াকে সাধারন সম্পাদক করে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এই ঘোষিত কমিটিতে শুধুমাত্র সভাপতি নিউটন মোল্লার স্বাক্ষর রয়েছে। যা গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।
এছাড়া ঘোষিত কমিটির সভাপতি বয়স ৫ বছর ও সাধারন সম্পাদকের বয়স ৩ বছর বেশি যা গঠনতন্ত্রবিরোধী।
জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আমির হামজা বলেছেন, কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কোন নির্দেশনা পাননি। তাই তিনি ঘোষিত ওই কমিটিতে স্বাক্ষর করেননি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে ও জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়রের উপস্থিতিতে এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের মতামতের ভিত্তিতে কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাসায় যাওয়ার জন্য বারবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি উপস্থিত হননি। তাই নেতৃবৃন্দের নির্দেশে আমার একক স্বাক্ষরে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমাকে ফোনে ডেকে নেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা ছাত্রলীগ এই কমিটি গঠন করেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই এই কমিটি গঠিত হয়েছে। যারা পদ পায়নি তারা একটু কষ্ট পেয়েছে। তাই তারা পদের জন্য একটু আন্দোলন করছে। আমরা তাদের বুঝানোর চেষ্টা করছি। সব ঠিক হয়ে যাবে।
খুলনা গেজেট/এনএম