ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের জালালপুর গ্রামে পানের বরজে ২ সপ্তাহে ৪ বার আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পুড়ে গেছে ২৫ বিঘার উপরে পানের বরজ। কৃষকদের ধারণা ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ তাদের ক্ষতি করছে।
সুত্র জানায়, গত ১২ই ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ২টা দিকে আগুন লেগে কাজী পাড়ার নাপতির ভিটা মাঠে গৌতম দাসের ২৫ কাটা, নরোত্তম দাসের ১০ কাঠা, সিন্ধু দাসের ৭কাঠা, অরবিন্দু দাসের ৭কাঠা, বিশ্বজিত দাসের ১৫ কাঠা, পলাশ দাসের ১১০ কাঠা, শাহাজান আলীর ১০ কাঠা, টিক্কা খানের ১০ কাঠা, চিনিরুদ্দিনের ৫ কাঠা, চাঁদ আলীর ৫কাঠা, আখতারের ১০ কাঠা, আমির হোসেনের ১২ কাঠা, আনিছুর রহমানের ১২ কাঠা, মিজানুর রহমানের ১৮ কাঠা এবং নিশিত দাসে ১০ কাঠা জমির পান ক্ষেতে পুড়ে ভষ্মিভূত হয়।
এর আগেও ১১ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সঞ্জয় পরামানিকের ৪ কাঠা ও সুজন পরামানিকের ৪ কাঠা পানের বরজ ভষ্মিভূত হয়। গত ৯ই ফেব্রুয়ারি বুধবার মৃত সন্যাসী দাসের ছেলে জগবন্ধু দাসের ৫ কাঠা পানের বরজ পুড়ে যায়।
গত জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখ সুবাহান মন্ডলের ৩৩ কাঠা বরজ পুড়ে যায়। ২৪ জানুয়ারি সোহাগ আলীর ৩৩ কাঠা, পান্টু মন্ডলের ১০ কাঠা ও মন্টু মন্ডলের ১০ কাঠা এবং মুরাদ আলীর ১০ কাঠা জমির পানের বরজ আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায়।
এই বিষয়ে কুশনা ইউপির চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান বলেন, ২ সপ্তাহের মধ্যে ৫টি আগুনের ঘটনা শুনলাম। বিষয়টি আসলেই রহস্যজনক। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে তদন্ত করে দেখবো কেউ ইচ্ছা করে আগুন লাগিয়েছে কিনা।
কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মহাসীন আলী জানান, আমরাও এই বিষয়টি নিয়ে বিচলিত রয়েছি। কৃষকরা সন্দেহাভাজন কারও নামে অভিযোগ করতে চায় না। অভিযোগ করলে তদন্তে সুবিধা হয়। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে এই বিষয়ে জরুরী পরামর্শ করে কৃষকদের আইনানুগ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। ভুক্তভোগীরা এখনও শঙ্কায় আছে আবারও এমন অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে। এব্যাপারে প্রশাসনের যথাযথ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই