ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে তাসলিমা হত্যা মামলার সন্দেহ ভাজন দুই আসামির ২ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে আজ শুক্রবার। তবে রিমান্ডে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানালেন কোটচাঁদপুর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
জানা যায়, উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক আলমগীর হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন(৩৮)। গেল ১ জুন (বুধবার) রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। ওইরাতেই বাড়ির পাশের ঘাসের জমিতে পাওয়া যায় তাঁর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ। পুলিশ তাঁর মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে,পরেরদিন ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়।
পরেরদিন ( ২ জুন) ওই ঘটনায় তাসলিমার ভাই মোস্তফা রহমান বাদি হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করেন। যার নাম্বার ১।
কয়েক দিন পর পুলিশ মামলার সন্দেহভাজন ৩ জন আসামিকে আটক করেন। যার মধ্যে ছিলেন উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আনার মন্ডলের ছেলে চাঁন মন্ডল(৩৫), খোসাল মন্ডলের ছেলে আব্বাস আলী, রমজান আলীর ছেলে বাদল হোসেন।
ওই ঘটনা সম্পর্কে বাদল আদালতে ৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আব্বাস আলী ও চান মন্ডলের নাম বলেন।
ওই সময় পুলিশ বাকি দুই জনের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ২ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালতে রিমান্ড মঞ্জুরের পরে বুধবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর) তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেন তদন্তকারি কর্মকর্তা। এরপর দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার তাদেরকে আদালতে পাঠিয়েছেন পুলিশ।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমান জানান, আসামিদের অজ্ঞাত করে মামলাটি করা হয়েছিল। তদন্তের পর সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করা হয়। তবে তাদের মধ্যে বাদল আদালতে ৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাতে বেরিয়ে আসে বাকিদের নাম। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। তবে তেমন কোন তথ্য মেলেনি রিমান্ডে।