প্রধান কোচ জেমি ডের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর দলের জন্য ধাক্কা হয়ে এসেছে। তবে টিম ম্যানেজার আমের খান জানালেন, সে ধাক্কা সামলে ওঠার মানসিকতা জীবন-জামালদের আছে। কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে বলে খুব একটা সমস্যা দেখছেন না তিনি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। রোববার সকালে ডের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে।
দুঃসবাদ পেয়ে বাতিল করা হয় সকালের অনুশীলন। বেলা তিনটার একটু আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সহকারী কোচদের অধীনে প্রস্তুতি সেরেছে দল। পরে গণমাধ্যমকে টিম ম্যানেজার দলের সার্বিক অবস্থা নিয়ে জানান।
“পরিবারের কারো মধ্যে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে কিছুটা প্রভাব তো ফেলেই। তারপরও যেহেতু জেমি আমাদের সাথে আছে, খেলারও এক-দুই দিন বাকি আছে, তাকে আবারও টেস্ট করা হবে, দেখা যাক এই দুদিনের মধ্যেৃআমরা তো আশা করছি, এই দুদিনের মধ্যে সে চলে আসবে।”
২-০ গোলে জেতা প্রথম প্রীতি ম্যাচে দলের মাঝমাঠ ছিল না জমাট। গোলের সুযোগও নষ্ট হয়েছিল কয়েকটা। আমের জানালেন, স্বশরীরে ডে না থাকলেও তার নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে অনুশীলন।
“যে কোচিং স্টাফ আছে, তারা কিন্তু জেমির সঙ্গেই কাজ করে। ওরা জেমির প্ল্যানিংটা নিয়েই এসেছে। সে অনুযায়ী প্র্যাকটিস হয়েছে। আজকে অনুশীলন শেষে জেমির সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনাও হবে। আমি মনে করি না, এ নিয়ে চিন্তার কিছু আছে।”
“আপনারা সবাই দেখছেন, প্লেয়াররা বুস্ট আপ হয়ে আছে। (পরের ম্যাচেও) ভালো রেজাল্টের আশায় আছি। আশা করি, পরের ম্যাচটাও আগের মতোই হবে।”
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগও জানিয়েছেন, কোচের আবার পরীক্ষা হবে। রবিবার মধ্যরাতের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
খুলনা গেজেট/এএমআর