জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সাত হাজার ৫০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন সাত হাজার ৪২৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৭৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো—পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যমুনা নদীর ডান তীরের ভাঙন থেকে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন কাতলামারী ও সাঘাটা উপজেলাধীন গোবিন্দি এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্প, খুলনা সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প এবং শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
খুলনা মহানগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়নের লক্ষ্যে একনেক সভায় ৩’শ ৯৩ কোটি ৪০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার ‘খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক অংশগ্রহণ করেন।
‘খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আধুনিক প্রযু্িক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে গৃহস্থালীর বর্জ্য দ্রুত সংগ্রহপূর্বক তা টেন্সিং গ্রাউন্ডে ফেলা, জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে খাল খনন, নিয়মিত ড্রেন পরিস্কারের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়, ১৫টি নতুন সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন ও ১০টি অস্থায়ী ট্রান্সফার স্টেশন নির্মাণ, বর্জ্য অপসারণের জন্য ৫০টি কনটেইনার, বিশেষায়িত ১০টি ট্রাক ও সাধারণ ৩০টি ট্রাক ক্রয়, খালের মাটি ও বর্জ্য অপসারণের জন্য ভাসমান স্কেভেটর, লংবুম স্কেভেটর, ৭টি রাবার প্রটেকঢেউ কম্প্যাক্ট স্কেভেটর, হুইল লোডার ও ১৬টি গার্বেজ লোডার ক্রয় করা হবে। এছাড়া মেটালিক গ্যারেজ সেড, গাড়ির পার্কিং টাওয়ারসহ মাথাভাঙ্গা এলাকায় ২৫ একর জমিতে একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড নির্মাণ করা হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে কৃষি মন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক অংশগ্রহণ করেন। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নগরবাসীর প্রত্যাশার আলোকে বিপুল অর্থের এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়ায় সিটি মেয়র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিামাঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী সব সময় আন্তরিক। ইতোপূর্বেও তিনি খুলনা মহানগরীর উন্নয়নে দু’টি প্রকল্পের অনুক‚লে প্রায় এক হাজার পাঁচশ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এ মহানুভবতার জন্য সিটি মেয়র প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
খুলনা গেজেট/কেএম