খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না : জামায়াত

গেজেট ডেস্ক

কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির, সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। শনিবার মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত আমির এ কথা জানান। তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে জামায়াতের মহাসমাবেশ শেষ হয়।

এর আগে দুপুর ২টায় আরামবাগ মোড়ে লাখ-লাখ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এ সমাবেশ শুরু হয়। এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন- নায়েবে আমির, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, নায়েবে আমির সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম।

উপস্থাপনায় ছিলেন- কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

সমাবেশ কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল গণতান্ত্রিক দল। আমরা অনেক লড়াই-সংগ্রাম করেছি। আমরা আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করেছি স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে। আমরা কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংগ্রাম করেছি। অথচ আজ আওয়ামী লীগের সুর ভিন্ন। আওয়ামী লীগ নাকি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি? তাদের সঙ্গে থাকলে স্বাধীনতার পক্ষের, বিপক্ষে গেলে যুদ্ধাপরাধী। এটা মোনাফেকি।

তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। নিরপেক্ষভাবে দলমত, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠায় করাই জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য।

তিনি বলেন, আমরা অনেক নির্বাচনেই অংশ নিয়েছি। আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে। আমরা গণতান্ত্রিক। কিন্তু আমরা কোনো ভোট, ব্যালট ডাকাতির ভোটের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। আমরা নির্বাচন করব। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে নয়। দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন বৈধ হয় না সেটা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে প্রমাণ হয়েছে।

ইসির উদ্দেশে তাহের বলেন, শতকরা ৫০ শতাংশ ভোট না হলে সেটা নির্বাচন বলা যাবে না। আপনি নাকি ভালো মানুষ শুনেছি। আপনি প্রয়োজনে পদত্যাগ করুন। কিন্তু নুরুল হুদা হবেন না।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির শামসুল ইসলাম বলেন, ভোটবিহীন সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। আজকে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জনগণের অধিকার আদায় করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে ক্ষমতা না দেওয়া পর্যন্ত, ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।

তিনি বলেন, সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ আবারও চেপে বসেছে। সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। মানুষ খেতে পারছে না। ভোটের ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আ. হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মুসা, শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, আ. জব্বার, ড.মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, শহীদ আল্লামা সাঈদীর সন্তান শামীম সাঈদী, মাসুদ সাঈদী।

বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, আ. মান্নান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক।

খুলনা গেজেট/ এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!