খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশগ্রহণ করায় ৯ নেতাকে আজীবন বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী শনিবার (০৩ জুন) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
যাদের বহিস্কার করা হয়েছে তাঁরা হলেন, ৫নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন, ১৯নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশফাকুর রহমান কাকন, ২২নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মাহবুব কায়সার, ৩০নং ওয়ার্ডে বিএনপি কর্মী ও সাবেক কাউন্সিলর মুহা. আমান উল্লাহ আমান, সংরক্ষিত ৯নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাজেদা খাতুন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ কেএম মোশফেকুল সালেহীন পাইলট, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী ফজলুল কবির টিটো, সাবেক ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন ও খুলনা মহানগর তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার মাতুব্বর।
বহিস্কারের চিঠিতে বলা হয়, ‘আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এই নেতারা কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য গত ১ জুন ২০২৩ তারিখে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেননি-যা গুরুতর অসদাচরণ। নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।’
‘দলীয় সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনাকে এহেন অবজ্ঞা ও ঔদ্ধত্যের জন্য বিএনপি’র গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমেে আপনাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো। গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে আপনাদের নাম একজন বেইমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
বহিস্কার হওয়া একাধিক একাধিক নেতা খুলনা গেজেটকে বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির এ সিদ্ধান্ত হঠকারীমূলক। বহিস্কার হওয়া অনেক নেতাই দলটির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন। তাদের কেউ কেউ আগেই ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে এ বহিস্কারাদেশে কোন প্রভাব পড়বে না।
খুলনা গেজেট/কেডি