করোনার প্রভাব পড়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এর ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেট তৈরিতেও। কর্মকর্তা কর্মচারিরা নিয়মিত অফিস করতে না পারায় এই বিলম্ব। তবে বর্তমান মেয়র তালুকার আব্দুল খালেকের নির্দেশনায় এই বছর বাস্তবসম্মত বাজেট ঘোষণার সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ঈদের পরেই তিনি বাজেট ঘোষণা করবেন।
এদিকে গত অর্থবছরের তুলনায় এবার কমছে কেসিসি’র বাজেটের পরিমাণ। আয় ও বরাদ্দ কমে যাওয়ার কারণেই বাজেট কমছে। কারণ করোনার প্রভাব সারাদেশের মত নগরীতে পড়েছে। তবে এবারে বাজেটে বাস্তবায়নের পরিমাণ অন্যান্য অর্থ-বছরের তুলনায় বেশি হবে বলে দাবি কতৃপক্ষের।
কেসিসি’র সূত্র জানায়, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাজেটের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ৫৩০ কোটি টাকা। যা বাজেট ঘোষণার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে। এদিকে গত বছরের ২৪ জুলাই ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল ৮৬৫ কোটি ৫৪ লাখ ৩ হাজার টাকার। বাস্তবায়নের পরিমাণ ছিল প্রায় শতকরা ৭০ ভাগ। ২০১৮-২০১৯ সালে বাজেটে ঘোষণা ছিল ৬৩৭ কোটি ৯ লাখ টাকার। বাস্তবায়ন ছিল শতকরা ৪৬ ভাগ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আয়ের সাথে ব্যয় সামঞ্জস্য এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাজেট তৈরীতে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখে। কিন্তু সম্প্রতি কেসিসি’র নিজস্ব অ্যাসফরপ্লান্ট, গরুর হাট, কর আদায়, লাইসেন্স শাখায় করোনা প্রভাবের কারণে আয়ের পরিমাণ আগের তুলনায় বাড়বে কি না অনিশ্চিয়তা আছে। পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দ আগের তুলনায় কমেছে। যার ফলে বাজেটের পরিমাণ কমছে।
কেসিসি’র বাজেট এ্যান্ড একাউন্টস অফিসার এম এম হাফিজুর রহমান মঙ্গলবার সকালে বলেন, করোনার কারণে বাজেটের কার্যক্রম করতে বিলম্ব হয়েছে। তবে মেয়রের নির্দেশে এবার বাস্তবসম্মত বাজেট ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রায় ৫৩০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে ঘোষণার আগ পর্যন্ত এটির পরিবর্তন হতে পারে। বর্তমানে বাজেট টাইপিংয়ের কাজ চলছে।
কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক মুঠোফোনে জানান, ঈদের পর বাজেট ঘোষণা করা হবে। করোনার কারণে আয় ও প্রকল্পের বরাদ্দ আগের মত নেই। গত অর্থবছরের বাজেট আমার করা ছিল না। এইবার অবশ্যই বাস্তবসম্মত বাজেট ঘোষণা হবে। তিনি বলেন, এবারের বাজেটে কনজারভেন্সি ও স্বাস্থ্যখাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নগরবাসীর ওপর অতিরিক্ত ট্যাক্স ধার্য হচ্ছে না।
খুলনা গেজেট / এনআইআর