বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) এর কারণে জমকালো আয়োজন ছাড়াই যশোরের কেশবপুরের সকল পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি সম্পন্নের দিকে। প্রতিমা তৈরির কারুকার্য করার পাশাপাশি শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তোরণ তৈরির কাজ চলছে। বেশিরভাগ মন্ডপে প্রতিমা শিল্পীরা ইতিমধ্যে রঙ তুলির আঁচড়ের কাজ শেষ করেছেন। সরকারি নির্দেশনা মেনে পূজার সকল কার্যাদি সম্পন্ন করবেন বলে কেশবপুর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা জানান। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে কেশবপুরের ৯১টি মন্ডপে ৪ হাজার ৫শ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কেশবপুর পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯১টি মন্ডপ এলাকায় আলোকস্বজ্জা, শোভাযাত্রা, প্রসাদ বিতরণের মতো আয়োজন এ বছর থাকছে না। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১১টি শর্ত দিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন সেটি মেনেই পূজা সম্পন্নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় বলেন, পৌর এলাকায় ৮টি, ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে ১টি, সাগরদাঁড়িতে ১২টি, মজিদপুরে ৭টি, বিদ্যানন্দকাটি ৪টি, মঙ্গলকোটে ৪টি, কেশবপুর সদরে ৭টি, পাঁজিয়ায় ৯টি, সুফলাকাটিতে ১০টি, গৌরিঘোনায় ১১টি, সাতবাড়িয়ায় ৯টি ও হাসানপুর ইউনিয়নে ৯টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে উপজেলার ৯১টি পূজা মন্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা হয়েছে। নারী, শিশুসহ সকল ভক্তদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা দর্শন করতে বলা হয়েছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার সুকুমার সাহা জানান, আগামী ২১ অক্টোবর দুর্গাদেবীর বোধনের মাধ্যমে শুরু হয়ে ২৬ অক্টোবর বিজয় দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় উৎসবের সমাপ্তি হবে। উপজেলার ৯১টি পূজা মন্ডপের জন্য ৪ হাজার ৫শ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শ্যামল সরকার বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে জমকালো আয়োজন ছাড়াই নিয়ম মেনেই পূজার কার্যাদি সম্পন্ন হবে। প্রতিটি মন্ডপ কর্তৃপক্ষ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এনএম