যশোরের ভরত ভায়না গ্রামে কালী সাধকের তদবির এনে দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ চেষ্টা ও সহায়তা মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিখন কুমার সরকার।
অভিযুক্তরা হলেন, কেশবপুর উপজেলার সন্ন্যাসগাছা গ্রামের বারিক শেখের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ সরদারের ছেলে জসিম সরদার, ভরত ভায়না গ্রামের আব্দুল হান্নান সরদারের ছেলে আবু সাইদ সরদার ও কাশিমপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ফকিরের ছেলে রোস্তম আলী ফকির।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরের ভরত ভায়না গ্রামের কানাই দেবনাথ ও তার ছেলে কাজকর্ম না করে সারাদিন বাজারে ঘোরাফেরা করে। ফলে কানাইয়ের স্ত্রী সংসার চালাতে হিমশিম খায়। এরমধ্যে পূর্বপরিচিত জসিম, সাইদ ও রোস্তম তাকে সন্ন্যাসগাছা গ্রামের কালী সাধকের কথা বলে তদবির এনে দিতে চায়। ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় আসামিদের কথামত মাথার চুল ও ছোট মেয়ের জামা নিয়ে জসিমের ভ্যানে ঘোষপাড়া ডাঙ্গীর বিলের একটি টোং ঘরে যায়। সেখানে আগে থেকে সিরাজুল ইসলাম বসে ছিল। জসিম তাকে কালী সাধক পরিচয় করে দিয়ে ভ্যান দেখতে রাস্তায় চলে আসে। এরপর ভুয়া কালী সাধক সিরাজুল বাইরে এসে একটি দাগ কেটে বাউন্ডারির মধ্যে তাকে রেখে ভুল মন্ত্র পড়তে থাকে। এ সময় সন্দেহ হওয়ায় চলে যেতে চাইলে ভুয়া কালী সাধক সিরাজুল তাকে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। চিৎকার দিলে সে তাকে ফেলে পলিয়ে যায়। এ ঘটনা অপর আসামিরা কাউকে বলতে নিষেধ করে। পরে তিনি বাড়িতে এসে ঘটনা জানিয়ে ২৩ নভেম্বর ওই চারজনকে আসামি করে ধর্ষণ চেষ্টর অভিযোগে কেশবপুর থানায় মামলা করেন।