বিয়ের ৩ মাস যেতে না যেতেই এক নববধুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যৌতুকের দাবিতে ওই গৃহবধুকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাবে হত্যার বিচারের দাবিতে নিহত গৃহবধুর বাবা আব্দুর রশিদ শেখ এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রশিদ বলেন, তার মেয়ে রুকাইয়া খাতুনের সাথে ৩ মাস আগে পাশ্ববর্তী তালা উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের দেয়ানি গ্রামের আলী সরদারের ছেলে আমিনুর সরদারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আসবাবপত্রসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল দেয়া হয়। এরপর থেকে মোটা অংকের টাকা যৌতুকের দাবিতে রুকাইয়ার স্বামী আমিনুর, শ্বশুর রিয়াজউদ্দীন, ছোট ননদ সাজেদা বেগম রুকাইয়ার ওপর অত্যাচর নির্যাতন চালাতে থাকে।
একপর্যায়ে রুকাইয়া খাতুন স্বামীর সংসার করতে দ্বিধাবোধ করে। এরপরও তার বাবা-মায়ের ইচ্ছায় স্বামীর ঘরে ফেরৎ যায় রুকাইয়া। এরপর থেকে আমিনুর রহমান তাকে মারপিটসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। ৬ অক্টোবর ভোরে রুকাইয়া শ্বশুর বাড়ি থেকে জানানো হয় রুকাইয়া গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে রুকাইয়ার মা, বাবা দেয়ানি গ্রামে গিয়ে দেখেন তাদের মেয়ের মরদেহ খাটের ওপর চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় তালা থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, রুকাইয়ার মরদেহে গলায় ফাঁসদিয়ে আত্মহত্যার কোন আলামত ছিল না। গলায় হালকা কালো দাগ ছিল। সমস্ত শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। গত ৫ অক্টোবর রাতে আমিনুরসহ তার পরিবারের লোকজন রুকাইয়াকে মারপিট করে মৃত ভেবে মরদেহ ঘরের আড়াই ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে এলাকায় অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে তার কন্যার মৃত্যু অস্বাভিক দাবি করে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রুকাইয়ার চাচা সামাদ শেখ, ভাই মারুফ হোসেন, জাকির হোসেন প্রমুখ।