যশোরের কেশবপুরে পরকীয়ার ফাঁদে পড়ে বিয়ের দাবিতে ইউপি মেম্বার শ্যামলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে এক সন্তানের জননী চায়না সরকার। কেশবপুর ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শ্যামল মল্লিক শ্রীরামপুর গ্রামের কার্তিক সরকারের মেয়ে এক সন্তানের জননী চায়না সরকারের সাথে দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে।
চায়না সরকার বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, সুকেশ নামের ভারতীয় এক নাগরিকের সাথে ৭/৮ বছর আগে বিয়ে করে ভারতে অবস্থান করতো। সুরেন (৭) নামের তাদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ৮/৯ মাস পূর্বে করোনা মহামারি চলাকালে সে স্বামীকে নিয়ে বাংলাদেশে তার পিতার বাড়িতে বেড়াতে আসে। এসময়ে ইউপি মেম্বার শ্যামল মল্লিক তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং চায়নার স্বামীকে জোর করে ডিভোর্স দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেন। পরে শ্যামল মেম্বার তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তার সাথে অবৈধ ভাবে মেলামেশা করে থাকে। শ্যামল মল্লিকের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। স্ত্রী তাদের সম্পর্কে বাধা দিলে শ্যামল তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কোনো উপায় না পেয়ে চায়না সরকার বৃহস্পতিবার সকালে তার পুত্রকে সাথে নিয়ে বিয়ের দাবীতে ইউপি মেম্বার শ্যামল মল্লিকের বাড়িতে এসে অবস্থা নেয়। এসময়ে মেম্বারের স্ত্রী বাড়িতে ছিলো না এবং শ্যামল মল্লিক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। শ্যামলের বাড়ির লোকেরা চায়নাকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। চায়না তার সন্তানকে সাথে নিয়ে সারাদিন না খেয়ে তার বাড়িতে অবস্থান করতে থাকে। পরে রাতে শ্যামল মল্লিক বাড়িতে ফিরে চায়না সরকারকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে এবং তার যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। সে এখন খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং তার পিতা বলেন চায়নার ভাই বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ত্রিমোহিনী ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, আমার পরিষদের একজন মেম্বার কি এক ঘটনা ঘটায়ে ফেললো যা একটা মানসম্মানের ব্যাপার। দুঃখজনক ঘটনা।
এ ব্যাপারে ইউপি মেম্বার শ্যামল মল্লিক সাংবাদিকদের জানান, সামনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন তাই আমার প্রতিপক্ষের লোকজন চায়নাকে ব্যাবহার করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই