খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

কেশবপুরে পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে হাসি

কেশবপুর প্রতিনিধি

কেশবপুরে রোপা পাটের বাম্পার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরা তাদের পাটক্ষেতে সময়মত পরিচর্যা করার কারণে এই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চলতি বছর এ এবার উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাট রোপণ করেছে কৃষকরা। আর প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে সময় মত পাট কেটে ঘরে তুলতে পারবেন বলে জানান কৃষকরা । শ্রমের দাম বেশী হলেও কৃষকরা পাট বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে অনেকেই জানান।

সোমবার দুপুরে ও বিকালে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, মাঠ জুড়ে পাট আর পাট।

কৃষকরা বলছেন, ‘পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অল্প খরচে অধিক ফলন, সমান দূরত্বে রোপণের কারণে গাছ ছোট বড় হওয়ার সম্ভাবনা কম, নিড়ানীর সুবিধার কারণে আধুনিক এ পদ্ধতির পাট চাষ এলাকা ভেদে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এক সময় পাটের ব্যবহার বেশী হওয়ায় একে সোনালী আঁশ বলা হতো। কিন্তু বর্তমান প্লাষ্টিক ও নাইলনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এ সোনালী আঁশের বাজারে ধস নেমেছিল। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা পাটের আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। এমন সময় এ উপজেলার কৃষকরা অল্প খরচে অধিক ফলন পেতে উদ্ধোবন করেন রোপা পদ্ধতির পাটের আবাদ। পরীক্ষামূলক আবাদে কৃষকরা বাম্পার ফলন পাওয়ায় সে কারণে এ বছরে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করেছে কৃষকরা।

উপজেলার একটি পৌরসভা, ত্রিমোহিনী, সাগরদাঁড়ি, মজিদপুর, বিদ্যানন্দকাটি, মঙ্গলকোট, কেশবপুর সদর, পাঁজিয়া, সুফলাকাটি, গৌরিঘোনা, সাতবাড়িয়া, হাসানপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষকরা এ পদ্ধতির পাট চাষে ঝুঁকে পড়েছে। অধিকাংশ কৃষক ক্ষোভের সাথে বলেন, পাটের পাটকাঠি একটি উৎকৃষ্টমানের জ্বালানী হিসেবে পরিচিত। খরচ না উঠলেও অনেকে জ্বালানীর জন্য পাটের আবাদ করে থাকেন কৃষকরা।

মজিদপুর গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন, জামাল হোসেন, ব্রহ্মকাটি গ্রামের আব্দুল লতিফ, তারিফ মোড়ল, রামচন্দ্রপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম, খোকন সরদারসহ উপজেলার অনেকেই পাট চাষীরা বলেন, ‘আমরা অনেক বছর আগে থেকে এ পদ্ধতিতে পাটের আবাদ করতাম। এ বছরও আমরা পাট চাষ করেছি।’

সরেজমিনে পাট চাষীদের ক্ষেত পরিদর্শনকালে তারা জানান, ১৫ চৈত্র বৃষ্টিপাত হওয়ায় ধানের বীজ তলার মত পাটের বীজতলা তৈরী করে বীজ রোপণ করেন। ২২ দিন বয়সের চারা তুলে ক্ষেত তৈরি করে নির্দিষ্ট ব্যবধানে সেখানে পাটের চারা রোপণ করেছিলেন। চারার বয়স ১০ দিন হলে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করেন। তাদের পাট মাঠের মধ্যে সেরা হওয়ায় তারা বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তবে কৃষকরা আশা করেছে এবার পাটের মূল্য বেশী পাবে। সে জন্য গত বছরের তুলনায় এ বছরে অনেক চাষীরা পাট চাষে ঝুকে পড়েছে। তারা বলেন, ‘আমরা আশা করছি প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে সুন্দর পরিবেশে পাট কেটে ঘরে তুলতে পারবো এবং লাভবান হবো।’

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, ‘এবার উপজেলায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাট রোপণ করেছে কৃষকরা। সময় মত পাট কেটে তারা ঘরে তুলতে পারবেন এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে কৃষকরা পাট বিক্রি করে লাভবান হবেন।’

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!