যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের শরিফুল হত্যা রহস্য উন্মোচন হয়েছে। পাওনা টাকা সংক্রান্ত গোলযোগের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়। এ মামলায় ইদ্রিস আলীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় দুইজনের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফজলে রাব্বী মোল্লা। অভিযুক্ত ইদ্রিস আলী সাতবাড়িয়া গ্রামের মোলাম সরদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শরিফুল মোটরসাইকেলে ফেরি করে বিভিন্ন দোকানে বেকারির মালামাল সরবরাহ করতেন। চলতি বছরের ১৯ মার্চ রাতে শরিফুল বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরদিন সকালে সাতবাড়িয়া গ্রামের পাঁচআনিপাড়া থেকে শরিফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নিহতের পিতা এমদাদুল হক কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার কয়েকদিনের মাথায় পুলিশ ইদ্রিস আলীকে আটক করে রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তিনি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি জানান, শরিফুল তার বন্ধু ছিলো। টাকা পয়সার লেনেদেনের দ্বন্দে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। এক পর্যায় নিজেই পরিকল্পিতভাবে শরিফুলকে হত্যা করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থলের পাশের একটি পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য ও স্বাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ইদ্রিস আলীকে অভিযুক্ত করে রোববার আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় আটক মোরশেদ আলম ও আব্দুস সবুরের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে।
খুলনা গেজেট / এমএম