করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই দেশের অনেক জায়গায় বন্যার প্রকোপ চলছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিনযাপন করছে। এর মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর আশঙ্কা করছে, দেশের বেশিরভাগ জায়গায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এই বৃষ্টি ও বন্যা এবারকার ঈদকে আরো বেশি প্রভাবিত করবে।
ঈদের দিনের আবহাওয়া সারা দেশে একই রকম থাকবে না বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ের আবাহাওয়া কার্যালয় থেকে। আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন ছিল- ঈদের দিনের আবহাওয়া কেমন যাবে? প্রত্যুত্তরে ২৯ জুলাই বিকেলে তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন দেশের রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। (বেশিরভাগ জায়গার মানে হচ্ছে, ওইসব বিভাগের ৬০ থেকে ৭৫ ভাগ জায়গা।)’
‘ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় (২৫ থেকে ৫০ শতাংশ জায়গা) বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আর খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় (সবোর্চ্চ ২৫ ভাগ এলাকা) বৃষ্টি হতে পারে।’
ঈদের দিনের গরমের (তাপমাত্রার) বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আজ ২৯ জুলাই, ঈদ হবে ১ আগস্ট। আবহাওয়া প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। ঈদের দিন ও তার আগের দিন অর্থাৎ ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট- এই দুদিন বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকার সম্ভাবনা বেশি।’
এই অবস্থায় ঈদের দিনের তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৪ ডিগ্রি থাকার কথা বলে ধারণা দেন আবহাওয়াবিদ শাহীনুর ইসলাম। তিনি আরো বলেন, তবে তা ১ থেকে ২ ডিগ্রি বেড়ে সবোর্চ্চ ৩৫ ডিগ্রি পর্যন্তও কোথাও উঠতে পারে।
শাহীনুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এই তাপমাত্রার মধ্যে আকাশ যদি মেঘমুক্ত হয় এবং প্রকৃতিতে সামান্য বাতাস থাকে তাহলে মানুষ বেশ আরামবোধ করবে। আর আকাশ যদি মেঘলা থাকে, তাহলে বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যায়- এই অবস্থায় মানুষের গরম একটু বেশি অনুভূত হবে।’
ঈদের নামাজ ও পশু কোরবানির মতো কাজগুলো মানুষ সাধারণত সকালবেলাতেই করে থাকে। সেসময় আবহাওয়া কেমন থাকতে পারে? জবাবে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, এটা হয়তো পরিষ্কারভাবে বৃহস্পতিবার বা পরশু শুক্রবার জানানো যাবে।
খুলনা গেজেট / এনআইআর