খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনশনে মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনা ও বকেয়া আদায়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন পশিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার রেড রোডে ৪৮ ঘণ্টার অনশনে বসেন তিনি।

তার আগে ভারতের সংবিধান প্রণেতা আম্বেডকরের মূর্তিতে মালা দেন। অনশনে প্রতিবাদের জন্য কালো রঙ বেছে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। শীতের কারণে গায়ে জড়িয়েছেন কালো চাদর। তার দলের নারী নেত্রী-মন্ত্রীদের পরনেও ছিল কালো রঙের শাড়ি আর পুরুষ নেতা-মন্ত্রীদের গায়ে কালো পাঞ্জাবি। মমতার অনশন মঞ্চের ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা মানছি না, মানব না।

অনশনের মঞ্চ থেকেই ইন্ডিয়ার জোট সঙ্গী কংগ্রেসকে নজিরবিহীন আক্রমণ করে মমতা বলেন, দেশজুড়ে ৩০০ আসনে লড়াই করে ৪০টি আসনও জিতবে না কংগ্রেস।

অনশনের মঞ্চের পেছনেই দু’টি অস্থায়ী রুম করা হয়েছে। একটিতে মমতা সাংগঠনিক কাজ করবেন, অন্যটিতে প্রশাসনিক কাজ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি কয়েকদিন ছিলাম না। অনেক ফাইল জমে আছে। তাই আমি মাঝে মাঝে পেছনে গিয়ে ফাইলে সই করে আসব। আর আমার কিছু সাংগঠনিক কাজও রয়েছে।

এদিকে কন্ট্রোলার অব অডিটর জেনারেলের রিপোর্টের তথ্য উল্লেখ করে বিজেপি দাবি করে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরাট অংকের টাকার কোনো হিসাব নেই। দুর্নীতির অভিযোগে ইতোমধ্যেই সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ ১ দশমিক ৯৫ লাখ কোটি টাকার কোনো হিসাব নেই। কেন্দ্রীয় অনুদানে তৈরি প্রকল্পের অন্তত ২ লাখ ৪০ হাজার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেয়নি মমতার রাজ্য সরকার।

রেড রোডের অনশন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি উড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ক্যাগের রিপোর্ট সম্পূর্ণ মিথ্যা। ক্যাগের রিপোর্টে বলছে ২০০৩ সাল থেকে। ওই দায়িত্ব আমরা নেব? সব ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট আছে। চিঠিটা পড়ে নেবেন। সব সময়মতো আছে। ক্যাগের লোকেরা জানতই না কী লিখতে হবে। সব বিজেপি করে দিয়েছে। বিকৃত তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করেছে।

পরে অনশনের মঞ্চে বসেই ক্যাগের রিপোর্টে গরমিলের অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লেখেন মমতা।

উল্লেখ্য, আজ রাজ্যের সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য এক হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। বিজেপি সরকার এদিন যে অর্থ বরাদ্দ করেছে তা অবশ্য বাংলার বকেয়া পাওনা নয়। বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের প্রকল্প হিসেবে দেওয়া হয়েছে। কলকাতার বাড়িগুলোতে সরকারি প্রকল্প হিসেবে পাইপের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়। গ্রাম বাংলার জন্য এই সুবিধা বরাদ্দ করেছে ভারত সরকার। সম্প্রতি জেলাগুলোয় আর্সেনিক মিশ্রিত পানি পাওয়ার খবর বারবার সামনে আসছিল। তাই নদীর বা গভীর জলাশয়ের পানি পরিশোধন করে গ্রাম বাংলার বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করার জন্য এই অর্থ ধার্য করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!