খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান কার্যক্রম ও সাম্প্রতিক পরিকল্পনাসমূহ এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কিছু বিষয় সকলের কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে কেডিএ কর্তৃক আজ বৃস্পতিবার (০১ অক্টোবর) মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেডিএ চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল মুকিম সরকার। সভায় খুলনার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসমূহের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় এক বছরের মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের কিছু সমস্যা সমাধান করে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্থকরনের অধিগ্রহণ সমস্যা সমাধান ও আরডিপিপি অনুমোদন করে টেন্ডার প্রক্রিয়াকরণ, ময়ূরী আবাসিক এলাকার সকল টাকা পরিশোধকারীদের নিকট লটারীর মাধ্যমে প্লট হস্তান্তর, খুলনা শহরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তিনটি রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করা হবে (নিরালা আ/এ হতে সিটি বাইপাস, খুলনা বিশ্ব বিদ্য়ালয় রায়েরমহল এবং পুরাতন সাতক্ষীরা থেকে বাস্তুহারা লিংক রোড ইত্যাদি), শেখ রাসেল সিভিক সেন্টার প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে সংশোধিত ডিপিপি প্রেরন, সরকারী অর্থায়নে নতুন একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের জন্য ডিপিপি প্রেরণ, নিউমার্কেটের পাশে বিপনি বিতান নির্মাণের জন্য সংশোধিত ডিপিপি প্রেরণ, কেডিএ’র নিজস্ব অর্থায়নে মুজগুন্নি আবাসিক এলাকায় জিমনেসিয়ামসহ সুইমিং কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ডিপিপি প্রেরণ ইত্যাদি। কেডিএ’র একটি রেস্ট হাউজ প্রকল্পের কাজ ও প্রায় সমাপ্তের পথে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেসিসি’র চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, কেএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ, কেডিএ’র সচিব ড. মোহাম্মদ শাহানুর আলম (উপসচিব), প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ সাবিরুল আলম, বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল গফফার বিশ্বাস, খুলনা চেম্বারের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস, খুলনা মটর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোল্যা মুজিবর রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা প্রমুখ।
পরিকল্পনাধীন আরও প্রকল্পের মধ্যে, খুলনা সিটি আউটার বাইপাস রোড (ভৈরব নদীর পূর্ব দিকে) ও ফুলবাড়ি রেলক্রসিং এ ওভারপাস নির্মাণ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রায় শেষ পর্যায়ে নেয়া হয়েছে। ময়ূরী আবাসিক এলাকা ও খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের মধ্যবর্তী অংশে অপরিকল্পিত এলাকাকে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকায় রূপান্তরের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
কেডিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিদ্যমান কেডিএ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালটি সময়পোযোগী করে চালুর জন্য ২০/২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। মুজগুন্নি পার্ক শীঘ্রই সংস্কার শেষ করে জনগণের হাটাহাটির জন্য ছেড়ে দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তর-পশ্চিম পাশের খালি জমি অধিগ্রহণ করে উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে।
কেসিসি প্রতিনিধি জানান, নগরীর এমএ বারী সড়ক লিংক রোডটি ব্রীজ পর্যন্ত কেসিসি মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে খুলনাকে পরিকল্পিত নগরীতে পরিবর্তনের জন্য বহুলাংশে কেডিএ’র ভূমিকা আরও বৃদ্ধি পাবে।
খুলনা গেজেট/এআইএন