কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে সরকার এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করছে।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ৪৬টি দেশের ২৫৫ জন বিদেশি প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশের সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই আন্তর্জাতিক সেমিনার।
এসময় প্রধানমন্ত্রী, সরকার জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি প্রণয়ন এবং এবং জিডিপির ৪ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার কারণে কৃষকরাই বেশি লাভবান হয়েছেন। সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকারের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি মানুষের ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেয়া ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হবে। এসময় নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জনের জন্য বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ। এ মানুষদের খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই লক্ষ্যে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আমরা এখন কৃষক যাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সব ধরনের সহযোগিতা পায় সে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, মোবাইল ফোন আগে মানুষের হাতে ছিল। আমি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। আমার কৃষকের হাতেও এখন মোবাইল ফোন।
তিনি বলেন, প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ কৃষক উপকরণ কার্ড পাচ্ছে। এই কার্ডগুলো তাদের দিয়ে দিই। তাদের টাকাগুলো সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে চলে যায়। দশ টাকায় তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছি। সে জন্য মাছ-মাংস, ডিম, তরি-তরকারি ও সবজি উৎপাদন গবেষণা করে করে বাড়িয়ে তা যেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় থাকে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস আজকে সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। যখনই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে, তখনই আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি খাদ্য উৎপাদনে। আমরা নিশ্চিত করেছি যে, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, খাদ্য নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে যখন গোটা বিশ্ব স্থবির, তখন একটা দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে যাতে এর প্রভাব না পড়ে এবং বাংলাদেশের মানুষকে যাতে কষ্ট করতে না হয় এ জন্য আমরা প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছি। ঘোষিত প্রণোদনায় কৃষকদের সবচেয়ে সুবিধা দিয়ে যাচ্ছি।
খুলনা গেজেট / এমএম