জনবিরোধী কৃষক আইন বাতিল ও দিল্লিতে কৃষক- ক্ষেতমজুরদের আন্দোলনকে সংহতি জানাতে মঙ্গলবার কলকাতার রাজপথ বিক্ষোভ অবস্থান ও মিছিলে কাঁপল । এদিন কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার রানীরাসমণি রোডে দুপুর বারোটা থেকে সন্ধ্যা ছ’ টা পর্যন্ত ছ’ ঘন্টার বিক্ষোভ অবস্থান হয়েছে। ১৬ টি বাম ও সহযোগী দল এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ডাকে এদিন এই বিক্ষোভ অবস্থানের ডাক দেয় । মোট ১৭ টি দলের নেতৃবৃন্দ ও বিক্ষোভকরীরা এদিন মোদী সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে, কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা হলে এবার লাগাতার গণ- আন্দোলনের পথে হাঁটা হবে।
এদিন হাওড়া, শিয়ালদা, নিউআলিপুর , পার্কসার্কাস সহ কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে এদিন বাম- কংগ্রেসের মিছিল আসে । এদিনের বিক্ষোভ অবস্থানে সভাপতিত্ব করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ।
বক্তব্য বলেন, সিপিআই এম রাজ্য সম্পাদক সূর্য কান্ত মিশ্র, দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, সিপি আই রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি, ফরওয়ার্ড ব্লকের হাফেজ আলম সাইরানি, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান, মনোজ চক্রবর্তী ও প্রদীপ ভট্টাচার্য, আর এসপির মৃণ্ময় সেনগুপ্ত, পিডি এসের সমীর পুততুণ্ড, সিপি আই (এম এল) লিবারেশনের কার্তিক পাল, আর সিপি আই- এর মিহির বায়েন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের নব্বই শতাংশ মানুষের জীবন- জীবিকা নষ্ট করে বিজেপি সরকার পার পাবে না। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বড় ভূমিকা পালন করেছে পাঞ্জাব- মহারাষ্ট্র ও বাংলা। কৃষকদের এই আন্দোলন গণ আন্দোলনে পরিণত হয়ে গেছে। বিহারের পাটনার গান্ধী ময়দানে আজ অবস্থান বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। ৩২ জন কৃষক মারা গেছেন। এই কন কনে শীতে আন্দোলন থামবেনা।
খুলনা গেজেট/কেএম