বাগেরহাটে চায়ের দোকানের পেছনে থাকা ক্যারামবোর্ডের উপর পাওয়া সেই নবজাতককে খুলনা ছোটমনি নিবাসে (বেবি হোম) পাঠানো হয়েছে। বুধবার (০৯ জুন) বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের একটি এ্যাম্বুলেন্সে ওই নবজাতককে খুলনা ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হয়। সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে নবজাতককে এ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন সমাজসেবা অধিদপ্তর বাগেরহাটের উপপরিচালক এস.এম রফিকুল ইসলাম।
এসময় প্রবেশন অফিসার মোঃ সোহেল পারভেজ, বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম, হাসপাতাল সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার (০৭ জুন) ভোর ৪টায় বাগেরহাট সদর উপজেলার চিতলী-বৈটপুর গ্রামের সাইদুলের চায়ের দোকান থেকে এই মেয়ে নবজাতককে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ। নবজাতক উদ্ধারের খবর পেয়ে অনেক নিঃসন্তান দম্পতি শিশুটিকে দত্তক নিতে আবেদন করেছেন।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, উদ্ধারের পর থেকে আমাদের কয়েকজন একজন নারী পুলিশ সদস্য সবসময় নবজাতকের পাশে ছিল। সমাজসেবা অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী খুলনা শিশুনিবাসে পাঠানোর জন্য আমরা পুলিশ ফোর্স দিয়েছি।
সমাজসেবা অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপপরিচালক এস.এম রফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ্য রয়েছে। শিশুটিকে দত্তক নিতে ইতোমধ্যে শিশুকল্যান বোর্ডের কাছে ২৭জন ব্যক্তি আবেদন করেছেন। শিশুকল্যান বোর্ড যাচাই-বাছাই করে দত্তক দেওয়াটা একটু সময়সাপেক্ষ বিষয়। তাই আমরা শিশুটিকে খুলনা বিভাগীয় শিশু নিবাস কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আপতত নবজাতকটি সেখানে থাকবে।
২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সরালিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিম হাওলাদারের বাগান থেকে একটি ছেলে নবজাতককে উদ্ধার করেন শাহ আলম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক শিক্ষক দম্পতি শিশুটিকে দত্তক নিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি