কুষ্টিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে নাসির উদ্দিন বিশ্বাস (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের লাহিনী চারা বটতলা এলাকার খন্দকার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত নাসির উদ্দিন সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের কাথুলিয়া গ্রামের সাজ্জাদ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে লাহিনী চারা বটতলা এলাকার খন্দকার পাড়ার শওকত আলীর মেয়ে সুমাইয়া খাতুন কাঞ্চনকে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন নাসির। পরে তাদের মেনে নেয় দুই পরিবার। তাদের সংসার ভালোভাবেই চলছিল।
জানা গেছে, গতকাল রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান নাসির। পরে সোমবার সকালে তার পরিবার জানতে পারে নাসির মারা গেছে। খবর পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নাসিরের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলেন, সবার অজান্তে ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে নাসির। মরদেহ দড়ি থেকে নামিয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তবে নিহত নাসিরের ছোট ভাই নাজমুলের দাবি, নাসিরকে হত্যার পর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে।
নাজমুল বলেন, নাসিরের স্ত্রী কাঞ্চনের প্রথম স্বামী ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পরে ২০১৬ সালে প্রেম করে বিয়ে করে নাসির ও কাঞ্চন। কাঞ্চনের আগের পক্ষের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নাসির তার বাড়িতে থাকতো এবং কাঞ্চন ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতো। কাঞ্চন কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসায় নাসির শ্বশুরবাড়িতে যায়। নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমি তাদের শাস্তি চাই।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
খুলনা গেজেট/এএ