কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাফিজ আহমেদ খান রাজুর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শিমুল ও উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুলসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বিএনপি প্রার্থীর দাবি, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শিমুলের নেতৃত্বে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিবারের নারীদের মারধরের পাশাপাশি তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও নিয়ে যায় তারা।
বিএনপি প্রার্থী নাফিজ আহমেদ খান রাজু জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তারিকুলের ছোট ভাই আতিক ও ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শিমুলসহ ১৫-২০ জন হামলা চালিয়ে বাড়িতে নারীদের গায়ে হাত তোলে এবং ভাঙচুর করে একটি মোটসাইকেল নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বিএনপি আমাকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী প্রভাষক তারিকুল ইসলাম তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমাকে এবং আমার কর্মীদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। আমি যাতে করে প্রচারণায় নামতে না পারি, সেই জন্য আমাকে এক প্রকার গৃহবন্দি করে রাখা হয়। আমার কোনো পোস্টার প্রদর্শন করতে দেয়া হয় না। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেও কোনো ফল মেলেনি। তারই বহিঃপ্রকাশ আমাদের বাড়িতে হামলা। এ ঘটনার পর থেকেই আমি আমার পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী প্রভাষক তারিকুল ইসলাম। কারা হামলা চালিয়েছে তা তার জানা নেই বলেও জানান তিনি।
খোকসা থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বিএনপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শিমুলসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি মেয়রপ্রার্থী নাফিজ আহমেদ খান রাজুর বাড়িতে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিও জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম