কুষ্টিয়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছিল।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৫৫ নমুনা পরীক্ষা করে ১৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৯৪, দৌলতপুরের ২৫, কুমারখালীর ১৫, ভেড়ামারার ১৭, মিরপুরের ১৩ ও খোকসার ৮ জন রয়েছেন। একই সময়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ছয়জন ও কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ওয়ার্ডে তিনজন মারা গেছেন। আজ সকাল পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে ১৩৭ জনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭৫ করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৫ জন।
গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, জেলায় গ্রামপর্যায়ে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। এটা বর্তমানে স্থিতি অবস্থায় আছে। গড়ে শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ। জুন মাসের ২৭ দিনে ৭৩ জন মারা গেছেন, তাঁদের ৭০ শতাংশ ৫৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী এবং গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামে আক্রান্ত হলেও তাঁরা শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে সেবা নিতে যাচ্ছেন।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলাজুড়ে প্রথম সাত দিনের কঠোর লকডাউনের মধ্যরাতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই ১ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ সকাল থেকেই প্রায় সড়কে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষের ও যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম