গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ২০ জন। শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রোববার (১৮ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।
এদের মধ্যে করোনায় ১২ জন এবং আটজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০ শয্যার করোনা ইউনিটে রোববার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন ২৫০ জন। এর মধ্যে করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ১৮৩ জন এবং ৬৭ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে নতুন ৯৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০৭ জনে। শনাক্ত ২০৫ জনসহ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯৬৭ জনে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২০৫ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৪১ জন, দৌলতপুরের ৩৭ জন, কুমারখালীর ৪৯ জন, ভেড়ামারার ৪৬ জন, মিরপুরের ১৩ জন ও খোকসার ১৯ জন রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত জেলায় ৭৮ হাজার ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৭৪ হাজার ২৬৪ জনের। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৮৫২ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৮৯ জন ও হোম আইসোলেশনে আছেন ৩ হাজার ৫৬৩ জন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তে আছে। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল কম। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
খুলনা গেজেট/এনএম