কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি বিভাগের ছাত্র তানভীরের (২৩) মরদেহ পাওয়া গেছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে ডুবে যাওয়া স্থানের ১ হাজার ফুট ভাটিতে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
তানভীরের বাড়ি বরগুনা জেলায়। তিনি ঢাবির ফার্মেসি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মাস-উদ-রুমী সেতু সংলগ্ন রেল ব্রিজের নিচে পাঁচ বন্ধু নদীতে গোসল করতে নামলে তিনজন তলিয়ে যান। বাকিরা তীরে ভিড়লেও নিখোঁজ হন তানভীর।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম জানান, নিখোঁজ তানভীরকে উদ্ধারে গত তিন দিন ধরে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও কর্মীরা।
তিনি বলেন, নদীর এই অংশ থেকে বালু উত্তোলন করায় নিচে ছোট-বড় অনেক গর্ত রয়েছে। এসব গর্তের কারণে স্রোতের সঙ্গে বালু ঘূর্ণি আকারে প্রবাহিত হয়। কোনো গর্তে আটকে মৃত্যু হতে পারে তানভীরের।
মরদেহ উদ্ধারের পর হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান জানে আলম।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিতান কুমার মন্ডল জানান, সোমবার রাতেই নিখোঁজ তানভীরের বাবা বরগুনা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল মালেক, ছাত্রের বড় বোন, ছোট ভাই ও মামা বরগুনা থেকে কুষ্টিয়ায় আসেন। তারা নদীর পাড়েই অবস্থান করছিলেন।
সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ শিক্ষার্থী মাইক্রোবাসে করে মেহেরপুরের মুজিবনগরের উদ্দেশে যান। সেখান থেকে দুপুরে আসেন কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ফকির লালন সাঁইয়ের মাজার ঘুরে রওনা হন শিলাইদহ কুঠিবাড়ির উদ্দেশে।
যাত্রাপথে কুমারখালীর উপজেলার মাস-উদ-রুমী সেতু সংলগ্ন গড়াই নদীতে গোসল করতে নামেন শিক্ষার্থীরা। পাঁচ বন্ধু নদীতে নামলে প্রবল স্রোতে তিনজন তলিয়ে যান। বাকিরা তীরে ভিড়লেও নিখোঁজ হন তানভীর।
খুলনা গেজেট/এনএম