কুষ্টিয়ার মিরপুরে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতার গুলিতে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা।
এ ঘটনায় মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাহার আলীসহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ।
আহতরা হলেন– মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুলিয়া গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন গাজীর ছেলে হাসেম গাজী (৫৫) ও বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর জলিলের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৪৫)। হাসেম কৃষিকাজ করেন এবং রেজাউল ভ্যানচালক।
আহতদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রতিপক্ষের আতাহার আলী ও তার লোকজন এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। তারা হাসেম গাজীকে গুলি করে গুরুতর আহত করে। এসময় রেজাউল নামের এক ভ্যানচালকও গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আহতদের স্বজন ও পরিবার।
আহত হাসেম, রেজাউল ও তার স্বজনরা বলেন, আতাহার আলী প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে বেড়ান। তিনি এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানুষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন। আজ গুলি করে দুজনকে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আহতরা।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, গুলিবিদ্ধ দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হালিম গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এখন একটা মিটিংয়ে আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।
এ বিষয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
খুলনা গেজেট/এএজে