ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই জমে উঠেছে কুরবানির পশুর হাট। পশুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় গরু ও ছাগল। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এই সময়ে রোগাক্রান্ত অথবা ক্ষতিকর রাসায়নিক ও ওষুধযুক্ত পশু হাটে নিয়ে আসেন। স্টেরয়েড দিয়ে মোটাতাজা করা গরু দেখতে চকচকে, হৃষ্টপুষ্ট ও আকর্ষণীয় দেখালেও আসলে সেগুলো সুস্থ নয়। তাই কুরবানির হাট থেকে সঠিক পশু নির্বাচন করতে বেগ পেতে হয় অনেককে। তবে কিছু কৌশলের মাধ্যমে সঠিক কুরবানির পশু নির্বাচন করা সম্ভব।
পশুর বয়স: অনেকে কুরবানির গরুর বয়সের বিষয়টি জানেন না। কোরবানির গরুর বয়স কমপক্ষে দুই বছর হতে হবে। অনেক সময় ব্যবসায়ীরা কম বয়সের গরু হাটে নিয়ে আসেন। সে ক্ষেত্রে দাঁত দেখে কিছুটা ধারণা করতে পারেন পশুটির বয়স সম্পর্কে। দুই দাঁত থাকলেই, ধরা হয় বয়স হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিছু হতে পারে। আর ছাগল কিনতে চাইলে, আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে তার বয়স যেন এক বছর হয়। গর্ভবতী পশু কোরবানি দেয়া যায় না। তাই কেনার আগে সেটা নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
সুস্থ পশু চিনবেন যেভাবে
কুরবানির সুস্থ পশু চিনতে অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নিতে পারেন। এতে পশু কেনার কাজটা সহজ হবে। তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে আপনি সহজেই চিনতে পারবেন সুস্থ পশু।
পশু বেশিরভাগ সময় লেজ নাড়িয়ে মশা-মাছি তাড়াতে ব্যস্ত থাকবে ও কিছুক্ষণ পর পর নড়াচড়া করবে।
খাবার দিলে তা স্বাভাবিকভাবে খাবে ও অবসর সময়ে জাবর কাটবে।
চোখ বড় ও উজ্জ্বল দেখাবে।
সুস্থ গরুর দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।
শ্বাসপ্রশ্বাস থাকবে স্বাভাবিক, অস্বস্তিতে ছটফট করবে না।
গরু-মহিষের ক্ষেত্রে বয়স দুই বছরের বেশি এবং ছাগল-ভেড়ার ক্ষেত্রে এক বছরের বেশি হতে হবে।
সম্ভব হলে পশুর প্রস্রাব ও গোবর স্বাভাবিক কি না তা যাচাই করতে হবে।
সুস্থ পশুর পিঠের কুঁজ মোটা ও টান টান হয়, তাই এটি দেখে নিতে হবে।
সুস্থ গরুর গায়ের রং চকচকে থাকবে, কুঁজ মোটা থাকবে, চামড়া টানটান থাকবে এবং চামড়ায় কোনো দাগ থাকবে না।
সুস্থ গরুর গায়ে স্পর্শ করলে সে স্থানে প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।
খুলনা গেজেট/এনএম