কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও বহিষ্কারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সংহতি জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা কুয়েট প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগানে দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’, ‘দালাল ভিসির পদত্যাগ, দফা এক দাবি এক’, ‘শিক্ষা সন্ত্রাস, একসাথে চলে না’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দালাল ভিসির বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’- ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর প্রশাসনের চলমান কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
আজ বেলা ১টায় বুয়েট ক্যাম্পাসে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীরাসহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
একই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আজ বেলা ২টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
এ ছাড়া কুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থীর আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর মিথ্যা মামলা এবং প্রহসনমূলক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করবেন তারা।
অন্যদিকে কুয়েটের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংসদ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতিবাদলিপিতে তারা শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানান।
এর আগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ কুয়েট ক্যাম্পাসে স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপিপন্থি সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্ররাজনীতিমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবির বিপরীতে শিক্ষাঙ্গনের অভ্যন্তরে এমন বর্বরোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাতে না জানাতেই আমরা দেখতে পাই প্রায় দুই মাস পর কুয়েট প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরপরাধ, আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম ব্যবহার করে ২২ জনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।