খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়৷
মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘আবরারের ঘটনায় আমরা দেখতে পেয়েছি, কীভাবে নির্বিকার চিত্তে ছেলেগুলো আবরারকে কয়েকঘণ্টা পিটিয়েছে। তাকে শারীরিকভাবে টর্চার করেছে। এ সহিংসতা যাদের সঙ্গেই ঘটানো হচ্ছে, তারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি মনে করি, অধ্যাপক সেলিমের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছে। এর যথাযোগ্য তদন্ত এবং বিচার হওয়া দরকার।’
ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশে সামাজিক ন্যায়বিচারকে সামনে রেখে যে নীতিনির্ধারণী গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছিল, এখন আমরা দেখছি তার উল্টোটা৷ কুয়েটের শিক্ষক অধ্যাপক সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়। তাকে যেভাবে মানসিক ভীতি প্রদর্শন ও টর্চার করা হয়েছে এবং এক পর্যায়ে তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এই জায়গা থেকে বিদায় নিয়েছেন। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই৷’
এ সময় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যুতে তাঁর পরিবার ধ্বংস হয়েছে। তাঁর সহকর্মীরা অনেক কষ্ট পেয়েছেন কিন্তু এর মাধ্যমে যদি একটা শুভ পরিণতির সূচনা হয় তাহলে মনকে শান্ত্বনা দেওয়া যায়। অধ্যাপক সেলিম হোসেন হয়তো সংবেদনশীল মানুষ ছিলেন। তিনি এ অপমান নিতে পারেননি। যারা অপমান নিতে জানেন তারাই তো বিভিন্ন পদ-পদবী পেয়ে থাকেন।’
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সহকারী অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এএ