খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েট এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ২য় বার্ষিক সাধারণ সভা শুক্রবার ৩১ মে বেলা ১১টায় কুয়েট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার, প্রধান প্রকৌশলী, এ্যলামনাই এসোসিয়েশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ।
সভায় কুয়েটের ভিসি তার সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, আমার একটা প্রস্তাবনা আছে কুয়েট এ্যালাইনাম এসোসিয়েশনের যে উদ্দেশ্য এই কুয়েটের একাডেমিক ব্যাপারেও তারা ভালো কিছু ভূমিকা রাখতে পারে বা সামাজিক সমস্যা নিয়ে যদি কিছু করার থাকে সেটাও করতে পারে।
সভায় গত এক বছরে এসোসিয়েশনের সার্বিক কার্যক্রমের রিপোর্ট পেশ করেন এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. আবু জাকির মোর্শেদ। পরে বার্ষিক প্রতিবেদনের উপর আলোচনা অংশ নেন ইঞ্জিনিয়ার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, মোঃ তারিক, মোঃ মাহমুদুল ইসলাম, মোঃ মাহমুদুল আলম, প্রকৌশলী মামুন, ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদ আলম প্রমুখ।
একই অডিটোরিয়ামে বিকালে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত এ্যালামনাইদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে জব ফেয়ারেও আয়োজন করা হয়।
এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের ২য় বার্ষিক সাধারণ সভায় এসে কুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র বর্তমান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আবু তারেক সাইফুল কামাল তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সভা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাক্তন অনেক ছাত্র-ছাত্রী একপ্রকার প্রাণের টানে এ সভায় যোগ দিতে এসেছেন। আমি নিজেও এ কারণে এসেছি। ক্যাম্পাসে এসে পুরানো বন্ধু বান্ধব, ব্যাচমেট, শিক্ষক, সিনিয়র, জুনিয়র সবার সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুবই আপ্লুত এবং অভিভূত হয়েছি। ক্যাম্পাস আসলে সেই পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে। প্রতিষ্ঠানের প্রতি চির কৃতজ্ঞ ছিলাম আছি এবং থাকবো। যতবারই সুযোগ পাই এই মনোরম পরিবেশে ফিরে আসবো।
খুলনা গেজেট/কেডি