কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে এসে একটি হোটেলের খাবার খেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অর্ধশতাধিক সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বুধবারের এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে ৪১ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ফলে অসুস্থ হয়েছেন তারা।
নির্বাচন অনুষ্ঠান স্বাভাবিক রাখতে কুমিল্লা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা সদরের ইত্যাদি রেস্টুরেন্ট নামের একটি হোটেল ওই পুলিশ সদস্যদের খাবার সরবরাহ করেছিল। বুধবার রাতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই হোটেলের মালিককে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণপাড়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে আসা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বুধবার দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয় উপজেলা সদরের ইত্যাদি হোটেলে। এদিন দুপুরে খাবার খেয়ে তারা নিজ নিজ কেন্দ্রে রওনা হন। বিকেল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অর্ধশতাধিক সদস্যের পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া শুরু হয়। পরে দ্রুত ৪১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মো. মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, খাবারে বিষক্রিয়ার ফলে অসুস্থ হয়েছেন এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আমরা সাধ্য মতো সেবা প্রদানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার গভীর রাতে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা.নিয়াতুজ্জামান। এ সময় তিনি অসুস্থদের খোঁজখবর নেন।
ব্রাহ্মণপাড়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪১ জনের মধ্যে ৮ জন ড্রাইভার, একজন সিভিল স্টাফ ও ৩২ জন পুলিশ সদস্য। তাদের অনেকেই ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেছেন। আর এসবের পেছনে ওই হোটেল কর্তৃপক্ষের কোনো কারসাজি আছে কি-না আমরা তা খতিয়ে দেখছি। এজন্য হোটেল মালিককে আটক করা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ফলে অসুস্থ হওয়াদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে নির্বাচনে এর কোন প্রভাব পড়বে না। আমরা ইতিমধ্যে তাদের বিকল্প ফোর্স সেখানে পাঠিয়েছি।
খুলনা গেজেট/এনএম