কুমিল্লা নাঙ্গলকোট ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পেরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম এ হামিদ ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শাকিল হোসেন (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় শাকিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এর আগে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পেরিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাকিলসহ আহত হয় ১০ জন।
শাকিল আশারকোটা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে এবং ঢাকায় ফুলকলি নামের একটি বেকারিতে কর্মরত ছিলেন।
নিহত শাকিলের চাচা গোলাপ হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে ছুটিতে গ্রামে আসে শাকিল। রাতে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ হামিদ বলেন, পেরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদার তার লোকজনসহ আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী বাহিনী ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে পথসভায় হামলা করে আমার ১০ সমর্থককে আহত করে। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। এর মধ্যে শাকিল হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। আমি এ ঘটনায় হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করছি।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদার বলেন, শুনেছি বুধবার মারামারি হইছে। তবে হামলার বিষয়ে কিছুই জানি না।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, বুধবার রাতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের আহত যুবক শাকিল মারা গেছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা করা হয়নি। হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।