কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানায় করা এই মামলার বাদী পুলিশ। পুলিশ থেকে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের বিষয়টি রোববার রাতে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ।
তিনি বলেন, কোরআন অবমাননায় ইকবালের বিরুদ্ধে করা মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত চারজন গ্রেফতার রয়েছে। গ্রেফতার হলেন প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল, নগরী দারোগাবাড়ী মাজারের দুই খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানানো ইকরাম।
ইকবালসহ চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শনিবার (২৩ অক্টোবর) আদালত ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে নানুয়াদিঘি পাড়ে পুজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখে হনুমানের হাত থেকে সরিয়ে নেয়া গদাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার রাত সাড়ে ১১টায় জেলা পুলিশের একটি টিম নগরীর দারোগাবাড়ি মাজারের পাশে একটি ঝোপ থেকে গদাটি উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার।
তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে গদাটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছিল গদাটি পুকুরে ফেলেছে। তবে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সে জানায় পুকুরের ফেলার পর সেটি ভেসে উঠায় আবার পুকুর থেকে উঠিয়ে পাশে একটি ঝোপে লুকিয়ে রাখে। বাঁশের তৈরি গদাটি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়াদীঘির পাড় পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার ঘটনায় কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন জায়গায় পূজামণ্ডপ ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ হামলা ছড়িয়ে পড়ে আরও কয়েকটি জেলায়।