কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন পাগল নন, তিনি স্বাভাবিক। বিষয়টি নিশ্চিত সোমবার (০২ নভেম্বর) করেছেন সিআইডি কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান। সিসি ক্যামেরায় ইকবালের পরিচয় শনাক্ত হওয়া পর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় সে পাগল। তারপর থেকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হয়।
পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেন, ইকবালসহ অন্য আসামিদের ২য় দফায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যাচাই-বাছাই করে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে ইকবালকে পাগল বলা হচ্ছে, তবে সে পাগল নয়, স্বাভাবিক।
২৯ অক্টোবর কোরআন অবমাননার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল, নগরী দারোগাবাড়ি মাজারের দুই খাদেম ফয়সাল, হুমায়ুন এবং জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানানো ইকরামের ২য় দফায় ৫ দিনের রিমান্ড চলছে। ২৫ অক্টোবর এই মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সেদিন মধ্যরাতেই জিজ্ঞাসাবাদের পর ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে দারোগাবাড়ি মাজার এলাকা থেকে মূর্তির গদাটি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়াদীঘির পাড় পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার ঘটনায় কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন জায়গায় পূজামণ্ডপ ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ হামলা ছড়িয়ে পড়ে আরও কয়েকটি জেলায়।