কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উলিপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম (৩৮) নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে। আশরাফুলের বাড়ি পৌরসভার দয়ালপাড়ায়। তার বাবার নাম আয়নাল হক।
কুড়িগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনজুর এ মুর্শেদ বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনার পর একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বেশ কয়েকজন আহত রয়েছেন।’
সূত্র জানিয়েছে, তিনি কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলামের সমর্থক ছিলেন।
সূত্র আরও জানিয়েছে, তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষের কয়েকজন নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা চলছিল। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আশরাফুল থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরপরই উপজেলা শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তাসভীর গ্রুপের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা খালেকের সমর্থক আমিনুল ইসলামের মালিকানাধীন শুভেচ্ছা হোটেলে ভাঙচুর করেন এবং বৈঠকে উপস্থিত কৃষক দলের নেতা আবু জাফর সোহেল রানা ও সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
এই ব্যাপারে জানতে তাসভীরুল ইসলাম ও আব্দুল খালেকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, তিনি ছুটিতে আছেন। থানা চত্বরের কাছে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের তথ্য পেয়েছেন।
‘একজন মারা গেছেন। তবে তিনি মারধরের কারণে নাকি স্ট্রোক করে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি,’ বলেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এইচ