মুজিববর্ষ উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চালু হওয়া ‘কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্ট’র কার্যক্রম সাবলীলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষে সরকারি সেবাসমূহ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা নিশ্চিত করার জন্য এই কার্যক্রম চালু হয়।
উদ্যোক্তারা জানান, সেবা গ্রহণের জন্য আগত সকল নাগরিক কিয়স্ক মেশিনে তাদের মোবাইল নম্বর ইনপুট দেওয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সেবা তালিকা থেকে যে কোনো সেবা নির্বাচন করে একটি নির্দিষ্ট অটোমেটেড টোকেন সিরিয়াল গ্রহণ করে কিউ প্রো সফটওয়্যারের মাধ্যমে এখান থেকে দ্রুত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
সেবা প্রত্যাশীরা এই ‘কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্ট’ থেকে রেকর্ড রুম সংক্রান্ত পর্চা, দাগসূচি, মৌজা ম্যাপ, ইনফরমেশন স্লিপ, বিবিধ মামলার নকল ও অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন এবং সাথে সাথেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে কাগজ প্রাপ্তির তারিখ। এছাড়া ঘরে বসেও ডাকের মাধ্যমে কাগজ পত্র পেতে পারেন সেবা প্রত্যাশীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা এস এম সুলতান হোসেন বলেন, “আগে তো টাকা পয়সা দিয়া, দালাল ধইরা কাগজ পত্র উঠাইতে ঘোরতে হইতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের জন্য এতো সুন্দর ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।” আব্দুল মান্নান খুলনা গেজেটকে জানান, “ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ এসে এতো স্বল্প সময়ে কোনো ঘোর প্যাচ ছাড়াই যে পর্চা পাবো ভাবতে পারি নাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, সাধারণত কর্পোরেট অফিস, বড় বড় বিমান বন্দর, বিদেশী এম্বাসী এসব জায়গাগুলোতে এমন সার্ভিস দেওয়া হয়। গোপালগঞ্জে আমরাই প্রথম সরকারি সেবাকে সাধারণ মানুষের কাছে আরামদায়ক ও সুবিধাজনকভাবে পৌছে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছি।
‘কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্ট’ এ কারিগরি সহযোগিতা করেছে দেশের স্বনামধন্য সফটওয়্যার কোম্পানি বিজনেস অটোমেশন লিমিটেড। কোম্পানিটি তাদের নিজস্ব তৈরিকৃত কিউপ্র কিয়স্ক মেশিন ও সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ সিস্টেমটি দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম জেলা প্রশাসন গোপালগঞ্জ কর্তৃক উদ্ভাবিত এই ‘কুইক সার্ভিস ডেলিভারি পয়েন্ট’র উদ্বোধন করেন।
খুলনা গেজেট/এমএম