খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগুন নিয়ন্ত্রণে, খুলনায় পাট গোডাউনসহ ১০ দোকানের কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

কী আছে সিনহা হত্যার তদন্ত প্রতিবেদনে ?

গেজেট ডেস্ক

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় গঠিত প্রশাসনিক কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে ১৩ দফা সুপারিশক করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে কী আছে, তা এখনই প্রকাশ করা যাবে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি এ প্রতিবেদন জমা দেয়।

সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আদালতে বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান যে এ ধরণের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সেজন্য তদন্ত প্রতিবেদনে ১৩টি সুপারিশ করা রয়েছে।

মন্ত্রী জানান, প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে এবং এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেদনটি এখনো খুলে দেখা হয়নি। এটি খোলার পর স্বরাষ্ট্র সচিব এটি মূল্যায়ন করে কোথাও কিছু দরকার হলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। গত ৩১ শে জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান। পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওই ঘটনায় পুলিশ দুইটি মামলা করে। তবে মেজর সিনহার বোনের করা মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জন পুলিশ সদস্যসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফ থানার তৎকালীন অফিসার ইন-চার্জ প্রদীপ দাশ। এই হত্যার ঘটনা তদন্তের জন্য গত ২ অগাস্ট চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কমিটি কাজ শুরু করে ৩রা অগাস্ট। এরপরের সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তাদেরকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

পরে তিন দফায় সময় বাড়িয়ে অবশেষ ৭ই সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন ধার্য করা হয়।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের কমিটির অন্যরা হলেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল এসএম সাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধি অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক জাকির হোসেন খান এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলী।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!