বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জের জিউধরা ইউনিয়নে সার-কীটনাশক বিহীন বি আর ২৩ আমন জাতের ধান চাষাবাদে বাজিমাত করেছে সোহেল হাওলাদার। এই জাতের ধান দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সেই সঙ্গে এ জাতের ধান আবাদ করে অধিক ফলন ও লাভের আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
জানা গেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড চন্দন তলা গ্রামে ৫ একর জমিতে বি আর ২৩ ও আমধ জাতের ধান চাষাবাদ করেছেন সোহেল। দেশে প্রচলিত যে কোনো হাইব্রিড জাতের ধানের তুলনায় এ জাতের দেশি বিদেশি ধানের চাষ করে ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।তবে উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বিভিন্ন ধরনের এ জাতের ধানের আবাদগুলো ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে এ জাতের ধানের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই ধান অবদান রাখবে।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, নতুন এই ধান আমাদের এলাকায় নিয়ে এসেছেন সোহেল হাওলাদার।ধান কাটার পর তার কাছ থেকে বীজগুলো সংগ্রহ করব। সার-কীটনাশকহীন এ জাতের ধান চাষাবাদে বাজিমাত করে যেমন সোহেল লাভবান হয়েছেন। ঠিক আমরাও এই আশায় আছি। নতুন এ জাতের ধান ফলনও বেশি হয়েছে। বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে তাই আগামী বছর এ জাতের ধান আবাদ করবেন বলে তারা জানান।
কৃষক সোহেল হাওলাদার বলেন, আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ জাতের ধানের বীজ সংগ্রহ করি। এ জাতের বীজগুলো সংগ্রহ করে চাষ করেছি। চাষের ফলাফল আশানুরূপ ফলন ভালো হয়েছে। সার-কীটনাশক একদম দেওয়া হয়নি। আমাদের এলাকায় যে উঁচু জমি রয়েছে, এই ধানগুলো এসব জমিতে চাষ করার মতো খুবই উপযোগী।
তিনি আরও বলেন, কৃষকদের সুবিধার জন্য আমি বীজগুলো সংগ্রহ করে বিক্রি করব। কৃষকরা যেনো সেই বীজগুলো সংগ্রহ করে আবাদ করতে পারেন। আমি এই ধান চাষ করে সফলতা পেয়েছি, তেমনি অন্যান্য কৃষক ভাইদের বলব তারাও আমার কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে চাষাবাদ করলে ভালো লাভবান হবেন।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, সোহেল হাওলাদার এ জাতের ধানের সম্মেলন ঘটিয়েছেন। অনেকে হয়তো এমন চাষ কখনও দেখেনি। এই জাতের ধানগুলো এই উপজেলার জন্য খুবই বিরল। এই জাতের ধানের আবাদ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে ধানের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই ধান অবদান রাখবে বলে আমি আশা করি।
খুলনা গেজেট/এমএম