ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র ত্যাগ করে ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। আর বলেন, যেকোনো রক্তপাতের জন্য দায়ী থাকবে ইউক্রেন সরকার।
এই ঘোষণার পরপরই ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে কিয়েভ বিমানবন্দরে গুলির শব্দ পাওয়ার খবর জানিয়েছে ইন্টারফ্যাক্সও।
এদিকে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা গেরাসচেঙ্কো জানিয়েছেন, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে দিয়ে রুশ হামলা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বিমানঘাঁটি ও সামরিক সদর দপ্তরেও গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ভোর ৫টার সামান্য পরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রথম বিস্ফোরণ হয়েছে। চার থেকে পাঁচটি বিস্ফোরণ হয় সেখানে। তবে তা ছিল বিচ্ছিন্ন এবং দূরবর্তী। এরপরই দ্রুততার সঙ্গে আরও বিস্ফোরণ ঘটে। বিবিসির কূটনৈতিক প্রতিবেদক পল এডামস বলছেন, রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে একটি হামলা হয়েছে কিয়েভের বিমানবন্দরে।
বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এমন একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, বিমানঘাঁটি এবং সামরিক বাহিনীর সদরদপ্তরে হামলা হয়েছে। এ ছাড়া হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশ থেকে।
বিশেষ করে পূর্বে ক্রামাটোরস্ক থেকে। এই অংশটি রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এলাকার কাছাকাছি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সর্বশেষ ভাষণের পর পরই এসব হামলা বলে দিচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার হামলার যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তা শুরু হয়ে গেছে।
খুলনা গেজেট/এস আই