আগামীকাল ৪ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চাশ দশকের শেষের দিকে ডাকসুর সাবেক জিএস ও কিংবদন্তি সাংবাদিক আশরাফ উদ্দীন মকবুলের নবম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৬ সালের ৪ মে খুলনায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
আশরাফ উদ্দীন মকবুল বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। মধ্যে কিছু সময় আয়কর আইনজীবি হিসেবেও কাজ করেন। তার পিতা মরহুম সরোয়ার সানস ছিলেন দরগাহপুর ইউনিয়ন বোর্ডের একাধারে ২২ বছর সভাপতি। আশরাফ উদ্দীন মকবুলের সমসাময়িক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রনেতা পরবর্তীতে রাজনীতির সাথে যুক্ত হলেও তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত না হয়ে সাংবাদিকতাকে বেছে নেন।
ইংরেজিতে অভিজ্ঞ এই মানুষটির মন ছিল শিশুদের মত। যেকোন মানুষকে সহজে আপন করে নিতে পারতেন। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম এপির মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয়। খুলনা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবেরও সদস্য ছিলেন। অবিভক্ত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তাঁর স্ত্রী লুতফুন নাহার মকবুল। শ্বশুর মরহুম আবুল কাশেম খুলনার মহকুমা প্রশাসক ছিলেন। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত।
তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আজ খুলনার নিরালাস্থ প্রান্তিকা জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম